কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধের পরও মুনাফায় শীর্ষে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। গত জুনে চীন-ভারতের লাদাখ সীমান্তে বিরোধের জের ধরে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয় টিকটক।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যেও বাণিজ্য উত্তেজনার বলি হয় টিকটক। ট্রাম্প প্রশাসন সেনাবাহিনীর মধ্যে অ্যাপটির ব্যবহার পুরো নিষিদ্ধ করে।
একটা সময় পাকিস্তানেও নিষিদ্ধ করা হয় অ্যাপটি। এতকিছুর পরেও ২০২০ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী অ্যাপ হিসেবে স্থান করে নেয় টিকটক।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরটিতে টিকটক ৫৪ কোটি ডলার মুনাফা করে তালিকার শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। মুনাফার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার। তাদের মুনাফার পরিমাণ ৫১ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
মোবাইল অ্যাপের তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপটোপিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম ইউটিউব রয়েছে সর্বাধিক মুনাফা করার তালিকায় তৃতীয় স্থানে। অ্যাপটির মুনাফা হয়েছে ৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এরপরই ৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলার নিয়ে রয়েছে ডিজনি প্লাস। টেনসেন্ট ভিডিও অ্যাপের মুনাফা ৩০ কোটি ডলার।
বিশ্বব্যাপী নেটফ্লিক্সও বছরটিতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। অ্যাপটির এই সময়ে মুনাফা এসেছে ২০ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অ্যাপলের আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের গুগল প্লে স্টোর উভয় প্ল্যাটফর্মের তথ্য এতে যুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য এতে চীনের আইওএস প্ল্যাটফর্মের কোনো তথ্যই এতে যোগ করা হয়নি।
২০২০ সালে ৮৫ কোটি ডাউনলোড নিয়ে সর্বাধিক ডাউনলোড অ্যাপের খেতাবও টিকটকের। বছরটিতে হোয়াটসঅ্যাপের ডাউনলোড ৬০ কোটি, ফেসবুকের ৫৪ কোটি।
ফেসবুক পরিবারের অ্যাপ হিসেবে ইনস্টাগ্রামের ডাউনলোড হয়েছে ৫০ কোটি ৩ লাখ। করোনা মহামারিতে বাসা থেকে কাজ বেশি হওয়ায় এই সময়ে মিটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জুমের ডাউনলোড হয়েছে ৪৭ কোটি ৭০ লাখ। অন্যদিকে বছরটিতে ম্যাসেঞ্জার ডাউনলোড হয়েছে ৪০ কোটি ৪০ লাখ। অ্যাপটোপিয়া বলছে, তালিকায় চারটি অ্যাপই ফেইসবুকের। নতুন অ্যাপ হিসেবে তালিকায় যুক্ত হয়েছে জুম ও গুগল মিট।
টিকটকের এমন উল্লম্ফন অবশ্য এটাই প্রথম নয়, চীনের বাইটড্যান্স মিউজিক্যালি অ্যাপ কেনার পর থেকে প্রতি বছরই বাড়তে থাকে টিকটকের ব্যবহারকারী।