বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন বছরে আরও গ্রাহক বান্ধব হবে ধামাকাশপিং

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:২০

দেশের ই-কমার্স খাতের বড় একটা পরিবর্তনের বছর ২০২০ সাল। বছরটির শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। তখন ঘরবন্দি মানুষের কেনাকাটার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠতে কাজ করতে থাকে দেশের ই-কমার্স।

ই-কমার্স খাতে ২০২০ সালের শেষ দিকে আকর্ষণীয় অফার নিয়ে যাত্রা করে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ধামাকাশপিং ডটকম। নতুন বছরে ধামাকাশপিংয়ের নানা পরিকল্পনা নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা।

সদ্য সমাপ্ত বছরে ই-কমার্স খাতে কী পরিবর্তন এসেছে?

সিরাজুল ইসলাম রানা: দেশের ই-কমার্স খাতের বড় একটা পরিবর্তনের বছর ছিল গত বছরটি। ২০২০ সালের শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। তখন ঘরবন্দি মানুষের কেনাকাটার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠতে শুরু করে ই-কমার্স। তার আগে থেকেই অবশ্য ই-কমার্সের পরিসর বাড়ছিল। কিন্তু করোনার কারণে এর প্রভাব লক্ষনীয় হয়ে ওঠে। দেশে অসংখ্য ই-কমার্স ও সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রীক ব্যবসা বাড়তে থাকে। বাজার বাড়লেও গ্রাহকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা বাড়েনি।

ধামাকাশপিং কী কোনো নতুনত্ব থাকছে ই-কমার্সে?

সিরাজুল ইসলাম রানা: দেশিয় ই-কমার্সে নতুন অধ্যায় চালু করার লক্ষ্য ধামাকার। আমরা ডেলিভারির ধারণাটিকে আরও দ্রুত এবং সহজ করতে কাজ করছি। যতোটা গ্রাহকবান্ধব ও দ্রুত করা যায় সেই ধারণা থেকে ধামাকা প্রাইমশপ এনেছি। সেখান থেকে ডিসকাউন্টে অর্ডার দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই দোকান থেকে পণ্য বুঝে নিতে পারছেন গ্রাহকরা।

এ ছাড়া দোকান থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে না চাইলে সেইম ডে হোম ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকের আশেপাশের প্রাইমশপ থেকে পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় গ্রোসারি, এক্সেসরিজ, মোবাইল, ইলেকট্রনিকসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। স্টোর পিক-আপ অথবা হোম ডেলিভারি, যে কোনো উপায়েই পণ্য কেনার সুযোগ থাকছে ধামাকা প্রাইমশপে। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে নিজ এলাকায় পণ্য পাচ্ছেন একই দিনে। নিজ এলাকা বাদে অন্য এলাকায় অর্ডার করলে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় থাকছে ৩-৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি সুবিধা। সহজ কথায়, ধামাকা শপিংয়ে একই সঙ্গে অনলাইনে এবং অফলাইনে ডিসকাউন্টে পণ্য কেনার সুযোগ আছে।

বর্তমানে ধামাকায় কী কী ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে?

সিরাজুল ইসলাম রানা: গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে কাজ করছি আমরা। সে জন্য প্রাইমশপে যুক্ত করছি নতুন নতুন ব্র্যান্ড ও স্টোর। মোবাইল, ল্যাপটপ, গ্যাজেট, গ্রোসারি, লাইফস্টাইলসহ নানা ক্যাটেগরির বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে রিটেইল প্রাইমশপে।

বর্তমানে আমাদের সঙ্গে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রো, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এক্সেল টেলিকম, নিটল নিলয়, রানার অটোমোবাইলস, বাজাজ বাংলাদেশ, হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গার বাংলাদেশ, মিনিস্টার, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশসহ স্যামসাং, অপো, ভিভো, শাওমির মতো স্মার্টফোন ব্র্যান্ড গত বছরেই অনবোর্ড হয়েছে। নতুন বছরে আরও নতুন প্রতিষ্ঠান অনবোর্ড হবে।

আপনাদের রিফান্ড পলিসি কী?

সিরাজুল ইসলাম রানা: সাধারণত গ্রাহক আমাদের যেই মেথডে পেমেন্ট করে আমরা সেই মেথডেই তাকে রিফান্ড করি। কেউ যদি ব্যাংকিং গেটওয়ে দিয়ে পেমেন্ট করে ও সেটি নিজস্ব ব্যাংকের গেটওয়ে হলে ৩ কর্মদিবসের মধ্যেই রিফান্ড পাবেন। যেমন, সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। তবে সিটি ব্যাংকের গেটওয়েতে অন্য ব্যাংক দিয়ে পেমেন্ট করলে সে ক্ষেত্রে ৭ কর্মদিবসের মত সময় লাগবে। এর ফলে আমাদের কোন প্রোডাক্ট স্টকের অতিরিক্ত অর্ডার পড়লে আমরা দ্রুত গ্রাহককে রিফান্ড করতে পারছি।

গ্রাহক কী সঠিক সময়ে পণ্য পাচ্ছেন?

সিরাজুল ইসলাম রানা: কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কার মধ্যেও ধামাকার লক্ষ্য গ্রাহকের পছন্দের পণ্য সঠিক সময়ে তার হাতে পৌঁছে দেয়া। আমরা স্টক কনফার্ম করেই অর্ডার নিচ্ছি। ফলে গ্রাহকের কাছে ৭ দিনেই ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

নতুন বছরে ধামাকার পরিকল্পনা কী?

সিরাজুল ইসলাম রানা: নতুন বছরে ধামাকা প্রাইমশপের সার্ভিস দেশব্যাপী প্রসার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ডেলিভারি টাইমলাইন ঠিক রাখার জন্য নতুন বছরে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ৭৮০০ স্কয়ার ফিটের ওয়্যার হাউজ চালু করছে। এখানে ৩ শিফটে ২৪ ঘণ্টা লজিস্টিকস টিম কাজ করবে। অচিরেই কল সেন্টারে নতুন জনবল নেয়া হবে। ফলে ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার সার্ভিসে সেবা পাবে গ্রাহক। সব মিলিয়ে ধামাকা ব্যাবসায়িক গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে সার্বিক ইকোসিস্টেম ঠিক রাখতে কাজ করছে। আমরা ঢাকার মধ্যে নেক্সট ডে ডেলিভারি ও ঢাকার বাইরে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ডেলিভারি করতে চাই, সেটা যত রিমোট এরিয়াই হোক।

এ বিভাগের আরো খবর