যুক্তরাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহে ভয়াবহ সাইবার হামলার যে খবর এসেছে তা বড় করে দেখছেন না প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে বলেছেন, এতে রাশিয়া জড়িত নয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনেকগুলো বিভাগের কম্পিউটার সিস্টেম ভয়াবহ সাইবার হামলার কবলে পড়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর। অনেকে বলছেন, রাশিয়াই এই কাজ করেছে।
কিন্তু ট্রাম্প বলছেন, ‘সবকিছু ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আছে’। প্রকৃত অবস্থার চেয়ে এই ঘটনাকে ‘খুব বড়’ করে দেখছে সংবাদমাধ্যম।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সময় শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘প্রকৃত অবস্থার চেয়ে এই সাইবার হামলাকে ভুয়া সংবাদমাধ্যমে অনেক বড় করে দেখানো হয়েছে। আমাকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে এবং সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে আছে।’
অথচ, এই সাইবার হামলার জন্য শুক্রবার রাশিয়াকে দায়ী করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তাতে পরিষ্কার দ্বিমত ট্রাম্পের। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ধারণা, রাশিয়া নয়, এতে জড়িত থাকতে পারে চীন।
ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া; কোনো কিছু ঘটলেই দেশটিকে আগেভাগে দোষারোপ করা হয়। গতানুগতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য এমনটা হয়। এই হামলায় চীনও জড়িত থাকতে পারে।’
গত বৃহস্পতিবার মাইক্রোসফট জানায়, হ্যাকড হয়েছে এমন ৪০টি সরকারি সংস্থা, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অঙ্গসংগঠন ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করেছে তারা। সাইবার হামলার কবলে পড়া এসব প্রতিষ্ঠানের ৮০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
মাইক্রোসফট থেকে বলা হয়, এটা স্বাধারণ গুপ্তচরবৃত্তি নয়, বেপোরোয়া কাণ্ড। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বে বড় ধরনের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা তৈরি হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত অস্টিন, টেক্সাস, সোলারউইন্ডের মতো জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিকারণ কোড ব্যবহার করে এসব প্রতিষ্ঠান হ্যাক করা হয় বলে বার্তা সংস্থা এপিতে খবর।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান এই সাইবার হামলার কবলে পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে দেশটির ট্রেজারি, বাণিজ্য ও জ্বালানি বিভাগ। রয়েছে ইউএস সাইবার সিকিউরিটি ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি অ্যাজেন্সিও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হ্যাকারদের কবল থেকে মুক্তি পেতে এক মাসের মতো সময় লেগে যেতে পারে।