রকেটচালিত পর্যটন বিমানের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে মহাকাশ ফ্লাইট প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিক।
স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্য থেকে মহাকাশের উদ্দেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ক্রুসহ ফ্লাইট পরিচালনা হতে যাচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনের প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে মহাকাশে পর্যটন ফ্লাইট বাণিজ্যিকভাবে শুরুর আশা করছে।
জাস্টিন বিবার, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওসহ ছয় শতাধিক মানুষ এরই মধ্যে মহাকাশ ভ্রমণে যেতে অগ্রিম টাকা দিয়েছেন।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের তিনটি চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের মধ্যে শনিবারেরটি প্রথম। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মহাকাশ ভ্রমণ শুরুর আগে এসব পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
ব্র্যানসন নিজেই এ সেবা পরীক্ষা করবেন। এর আগে অবশ্য ভার্জিন গ্যালাকটিককে কয়েকটি চূড়ান্ত প্রস্তুতিমূলক ধাপ পার হতে হবে।
শনিবারের অভিযানে বিমানে কেবল দুজন থাকবেন। তারা হলেন নাসার সাবেক মহাকাশচারী সিজে স্টারকো ও গ্যালাকটিকের প্রধান পরীক্ষামূলক বিমানচালক ডেভ ম্যাকে।
ইউকে স্পেস ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট উইল হোয়াইটহর্ন এই যাত্রাকে ‘বিশাল মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি অনেক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থা। একে উন্নত করার কাজ সহজ ছিল না।’
২০১৪ সালে মহাকাশযানে মারাত্মক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যানটির কয়েকটি উপকরণ নতুনভাবে নকশা করা হয়।
হোয়াইটহর্ন বলেন, ‘অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা মহাকাশের ক্ষেত্রে খাটে না। নিরাপদ থাকাটাই এখানে একমাত্র প্রতিযোগিতা।’
মহাকাশযানটিকে নভোচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হবে বলে জানান হোয়াইটহর্ন।
তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা তাদের (মহাকাশচারী) কৃত্রিম পরিবেশের (যেমন: সুইমিং পুল, বমি করার স্থান) সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার প্রশিক্ষণ দেবো।
‘মহাকাশ পর্যটন ও মহাকাশ বিজ্ঞানের পাশাপাশি এই প্রশিক্ষণ মহাকাশে শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’