বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ব্যবস্থা

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৩২

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিয়েতনামের ‘এপিটি থার্টি টু’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ও বাংলাদেশভিত্তিক একটি হ্যাকার গ্রুপ ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে অনেক মানুষের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে। গ্রুপ দুটির এই সক্ষমতা শেষ করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দুটি হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্মটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়।

তাতে বলা হয়, ভিয়েতনামের ‘এপিটি থার্টি টু’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ও বাংলাদেশভিত্তিক একটি হ্যাকার গ্রুপ ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে অনেক মানুষের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে। গ্রুপ দুটির এই সক্ষমতা শেষ করে দিয়েছে ফেসবুক।

বিবৃতিতে বলা হয় যারা ম্যালওয়্যার ছড়ানোসহ অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে তাদের শনাক্ত করতে ফেসবুকের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা কাজ করছে।

হ্যাকারদের অকেজো করে দেয়ার কার্যক্রম নিয়মিতই চলবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যপারে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের তথ্যও জানানো হবে। ফেসবুকের সেবার নিরাপত্তার মাননোন্নয়নে অনুসন্ধানগুলো প্রকাশ করা হবে।

এর অংশ হিসেবেই নিজেদের সবশেষ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দুটি হ্যাকার গ্রুপের নাম প্রকাশ করল ফেসবুক।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুটি আনকানেক্টেড গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টারনেটের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে অনেককে টার্গেটে পরিণত করেছিল।

এর মধ্যে ভিয়েতনামের হ্যাকার গ্রুপটির টার্গেট কেবল অ্যাকাউন্টগুলোতে ম্যালওয়্যার ছড়ানো। আর বাংলাদেশের হ্যাকাররা অনেকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা চালায়। এমনকি অ্যাকাউন্টগুলো অকেজো করে দেয়।

বাংলাদেশভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপটির ব্যাপারে বলা হয়েছে, তারা স্থানীয় অধিকারকর্মী, সাংবাদিক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিদেশে থাকা অনেকের অ্যাকাউন্ট বেহাত করে নেয়ার কাজে জড়িত। ফেসবুকে ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ লঙ্ঘনের ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে অনেক অ্যাকাউন্ট বিকল করে দেয় তারা।

ফেসবুকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের তদন্তে এ কাজে জড়িত বাংলাদেশের দুটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে- ডন’স টিম (এটি ডিফেন্স অব ন্যাশন্স নামে পরিচিত) ও ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন (সিআরএএফ)। তারা অনেক ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিসে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে হয়েছে।’

বিবৃতিতে জানানো হয়, টার্গেটে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে ফেসবুকের ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ লঙ্ঘন নিয়ে ডন’স টিম ও সিআরএএফ সম্মিলিতভাবে রিপোর্ট দিত। এসব ভুয়া রিপোর্টের মধ্যে ছিল- জালিয়াতি, মেধাস্বত্ত্ব চুরি, অশ্লীলতা ও সন্ত্রাসবাদ।

বাংলাদেশের গ্রুপ দুটি মানুষজনের অ্যাকাউন্ট, পেজ হ্যাক করত। বেহাত করে নেয়া কিছু অ্যাকাউন্ট নিজেদের উদ্দেশে ব্যবহারও করত এবং এসবের মাধ্যমে নিজেদের কনন্টেন্ট প্রচার করা হতো।

‘আমাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হ্যাকিং চেষ্টায় ইমেইল ও ডিভাইস বেহাতসহ নানা ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হতো। এ ক্ষেত্রে আমাদের অ্যাকাউন্ট রিকভারির যে পক্রিয়া তার অপব্যবহার করা হতো।’

ফেসবুকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এসবের পেছনে জড়িত অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলো মুছে দেয়া হয়েছে। এসব গ্রুপের তথ্য ফেসবুক তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও জানিয়ে দিয়েছে, যাতে তারাও হ্যাকিংয়ের মতো কার্যক্রম শনাক্ত ও বন্ধ করতে পারে।

এ ছাড়া হ্যাকিং থেকে মুক্ত থাকতে অ্যাকাউন্টধারীদের সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা এবং অনির্ভরযোগ্য উৎসের সফটওয়্যার ডাউনলোড না করার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।

এ বিভাগের আরো খবর