যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাইজার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। চলতি সপ্তাহে দেয়া এ অনুমোদনের পর সবকিছু আগের জায়গায় ফিরবে বলে আশা করছেন অনেকে। তবে যারা করোনার টিকা নেবেন, তারা তা প্রমাণ করবেন কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ মানুষ খুব শিগগিরই করোনার টিকা নেবেন। টিকা নেয়ার পর কোনো ব্যক্তি যে সংক্রমণের ঝুঁকিতে নেই, তা সহজ পদ্ধতিতে দেখাতে চাইতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যও এটি দেখানো জরুরি হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংস্থা কান্তাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের কাছ থেকে ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’ দেখতে চাওয়া হতে পারে।
তবে ইমিউনিটি পাসপোর্ট নিয়ে প্রায়োগিক, নৈতিক বিষয়ও সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সোসাইটি ফর ইমিউনোলজির প্রধান অধ্যাপক ডেবোরাহ ডান-ওয়াল্টার্স বলেন, ‘যত টিকা আমি নিয়েছি, আমার ফোনে তার একটি অ্যাপ থাকলে ভালো হয়। অ্যাপটি আমাকে জানাবে, কখন টিকাগুলোর মেয়াদ শেষ হবে।’
ডেবোরাহর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অ্যানা বেদুসচি। তিনি ইমিউনিটি পাসপোর্ট নিয়ে গবেষণা করছেন। এ বিষয়ে আইনি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
ডান-ওয়াল্টার্সের ভাষ্য, টিকা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা বাকি। তাই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি।
ইমিউনিটি পাসপোর্টধারীরাই গণপরিবহন বা গির্জায় যেতে পারবেন, কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বেদুসচি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি এরই মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা তৈরি করেছে।
ডিজিটাল স্বাস্থ্য পাসপোর্ট বিতরণ সমাজে এই অসামঞ্জস্য বা বৈষম্য আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করেন বেদুসচি।
নাগরিকদের করোনা সংক্রান্ত তথ্য ও চলাচল নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে স্মার্টফোনে অ্যাপ ব্যবহারের পথ খুঁজছে চীন। তবে অন্য অনেক দেশ এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
করোনার টিকা নিয়ে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে আগ্রহী দেশগুলোর চীনের পদক্ষেপে সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।