যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি বিষয়ক শীর্ষ পর্যায়ের কোম্পানি টেসলার ওপরের পদগুলোতে শ্বেতাঙ্গদের একচ্ছত্র আধিপত্য। এসব পদে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মচারি মাত্র চার শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতদের মধ্যে বর্ণ বৈচিত্র্য বিষয়ক একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা ও নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরিগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে নারী, কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও এশিয়ানদের অংশগ্রহণ রয়েছে।
সার্বিক কর্মীবাহিনীর মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক, এশিয়ান, নেটিভ আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের মতো। আর মোট কর্মী সংখ্যার ৭৯ শতাংশ পুরুষ।
প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ পর্যায়ের পদগুলোতে পুরুষের সংখ্যা আরও বেশি, ৮৩ শতাংশ। এসব পদে শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যাও বেশি, ৫৯ শতাংশ।
এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীবহরে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা ১০ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালক ও এর উপরের পদে কৃষ্ণাঙ্গ আছে ৪ শতাংশ।
২০২০ সালে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ও আফ্রিকান আমেরিকান। আর প্রমোশন পাওয়াদের মধ্যে ১০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ।
কর্মীবহরে এশিয়ান আছে ২১ শতাংশ। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ আছে শীর্ষ পদগুলোতে। নতুনদের মধ্যে ২০ শতাংশ এশিয়ান। প্রমোশন পাওয়াদের মধ্যে তাদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ।
হিস্পানিক ও লাতিন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ২২ শতাংশ। এর মধ্যে চার শতাংশ আছে পরিচালক পর্যায়ে। টেসলায় এবার যাদের প্রমোশন দেয়া হয়েছে তাদের ২৪ শতাংশ এই জনগোষ্ঠীর। আর নতুন নিয়োগ পাওয়াদের প্রায় ২৭ শতাংশ হিস্পানিক ও লাতিন।
যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার মোট কর্মীদের ২১ শতাংশ নারী। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পার্যায়ের পদগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ ১৭ শতাংশ। ২০২০ সালে প্রমোশন পাওয়াদের মধ্যে ২৩ শতাংশ নারী, যা আগের বছর থেকে ৫ শতাংশ বেশি। চলতি বছরে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাতে নারী প্রায় ২৫ শতাংশ।
দেশটিতে টেসলার মোট কর্মীদের মধ্যে পুরুষের প্রতিনিধিত্ব ৭৯ শতাংশ। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশই আছে শীর্ষ পদগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার কর্মীবহরে বয়স্কদের সংখ্যা ৪ শতাংশ।