তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চট্টগ্রামের তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আগামী দিনের ঠিকানা হতে যাচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার।
শনিবার চট্টগ্রামের চাদগাঁওয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সেন্টার নির্মাণে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু ইট-কাঠ-লোহার অবকাঠামো হবে না। এটা হবে আগামী প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের ঠিকানা।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যদিও অর্থের দিক থেকে ৪৮ কোটি টাকা চট্টগ্রামের উন্নয়নের তালিকায় খুব বড় কিছু নয়। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণ হচ্ছে, হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভার হয়েছে। এখানে বে টার্মিনাল হচ্ছে, পাশেই হচ্ছে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এসব থেকে আলাদা। এটি হবে জ্ঞানভিত্তিক একটা প্রজন্ম গড়ার কেন্দ্র।
বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, এটি হবে ছয় তলা। এতে থাকবে ৩৬ হাজার বর্গফুট জায়গা। প্রতিবছর সেখান থেকে এক হাজারের বেশি জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। থাকবে স্টার্টআপদের জন্য একটা ফ্লোর। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য থাকবে প্লাগ অ্যান্ড প্লে সুবিধা।
তিনি বলেন, সবাই তো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন না। কিন্তু যারা চান তারা এসএসসি বা এইচএসসি পাস করার পরই দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেই কিছু করতে পারবেন। সেই বিষয়গুলোর কথা মাথায় রেখে এই সেন্টারের ধারণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করা হবে। এর প্রথম দফায় চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, নাটোর, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, বরিশাল ও মাগুরায় স্থাপন করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৫৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয় এবং চট্টগ্রাম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে চারটি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়। আইসিটি বিভাগের অপর একটি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রায় ২০০০ বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ও ৫৭০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১২ জনকে ল্যাপটপ প্রদান করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক। এসময় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ব্যবহার উপযোগী একটি ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, জব পোর্টাল ও ডেটাবেজ উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, হাইটেক পার্কের পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।