বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের কাছে ৩৭১ অ্যাকাউন্ট ও পেইজ সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। এই তথ্য সরকার ২৪১টি অনুরোধের মাধ্যমে জানতে চেয়েছে।
ফেসবুক বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে। যে অ্যাকাউন্ট ও পেইজ সম্পর্কে সরকার তথ্য চেয়েছে তার মধ্যে ১৪১টি আইনি প্রক্রিয়া ও ৯৯টি জরুরি ক্ষেত্রে তথ্য চেয়েছিল বলে ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে উঠে এসেছে।
ফেসবুক চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমটি তাদের চলতি বছরের এই রিপোর্ট সবার জন্য উন্মুক্ত করে।
রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, সরকার জরুরি ক্ষেত্রে তথ্য চেয়ে যে অনুরোধ জানিয়েছে তার মধ্যে ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ফেসবুক তথ্য সরবরাহ করেছে। আর আইনি মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে চাওয়া তথ্যের ক্ষেত্রে ৫৭ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে।
ফেসবুকের কাছে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো কোন তথ্য জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। সেই অনুরোধে সাড়াও দিয়েছিল ফেসবুক। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে জানতে চাওয়া সেই তথ্যের কথা প্রকাশ করে ২৮ এপ্রিল।
ফেসবুকের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্ট ও পেইজের তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়। সেসব অনুরোধের উপর ভিত্তি করে ফেসবুক তথ্য সরবরাহ করে। যে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয় তা গোপন রাখে ফেসবুক।
অতিসম্প্রতি ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭৯টি অনুরোধ করেছিল সরকার। ফেসবুক ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছিল।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সারা বিশ্ব থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯২টি অ্যাকাউন্ট ও পেইজের। এর মধ্যে ফেসবুক সরবরাহ করেছে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ তথ্য।
সবচেয়ে বেশি তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ৬১ হাজার ৫২৮টি অ্যাকাউন্ট ও পেইজ সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়। যার ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।