পুরোনো আইফোনগুলোকে ধীর করে দেয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকদের ১১৩ মিলিয়ন (১১ কোটি ৩০ লাখ) ডলার জরিমানা গুনতে হবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন আইফোন বাজারে এলে পুরোনোগুলোর কর্মক্ষমতা ও ব্যাটারির সক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে অ্যাপলের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩টি অঙ্গরাজ্য দাবি করে, আইফোন ব্যবহারকারীদের নতুন ডিভাইস কেনায় বাধ্য করতে এমন কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৬ সালে আইফোন যখন নতুন মডেল বাজারে এনেছিল, তখন আইফোন ৬, ৭ ও এসই ধীর হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনাটি ‘ব্যাটারিগেট’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
ব্যাটারিগেট হলো অ্যাপল আইফোনের পুরোনো মডেলগুলোর কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।
তবে ওই সময়ে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছিল অ্যাপল। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ব্যাটারির বয়স বাড়ার কারণে আইফোনগুলো ধীর হয়ে যায়।
সর্বশেষ ঘটনার (জরিমানা) বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল।
এর আগে অপর একটি ঘটনায় চলতি বছরের মার্চে ক্ষতিগ্রস্ত আইফোন মালিকদের ৫০ কোটি ডলার দিতে চুক্তি করে অ্যাপল।
২০১৭ সালে গবেষকরা আইফোনে অস্বাভাবিক ধীরগতি খুঁজে পাওয়ার পর অ্যাপল তার আপডেটের কারণে ব্যাটারির ক্ষমতা কমার বিষয়টি স্বীকার করে।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ব্রনোভিচ বুধবার প্রকাশিত আদালতের নথিতে লিখেন, অনেক ভোক্তা এ সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছিলেন যে, ভালো পারফরম্যান্স পাওয়ার একমাত্র উপায় অ্যাপলের নতুন মডেলের ফোন কেনা।