বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানে করোনায় বিশ্বস্ত সঙ্গী রোবট

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:১৭

সূর্যদয়ের দেশ জাপান দীর্ঘদিন থেকেই শিল্পখাত ও সার্ভিস রোবট উৎপাদনের শীর্ষ দেশ। মহামারির প্রভাবে দেশটিতে এমন রোবট তৈরির পরিমাণ আরও বেড়েছে। দেশটি জোর দিয়েছে সার্ভিস রোবট উন্নয়ন ও গবেষণায়।

করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বব্যাপীই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত করেছে। সব খাতেই বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দেশ নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এসব কাজ প্রায় সবই প্রযুক্তিবান্ধব।

উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত জাপান দেশটিতে রোবট ব্যবহার করে মহামারি মোকাবিলায় জোর দিয়েছে কয়েকগুণ। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অবস্থান তাতে দেশটি সার্ভিস রোবট দিয়ে নানাখাতেই এগিয়ে গিয়েছে।

দেশটিতে জীবাণুনাশক রোবট ব্যবহার হচ্ছে অতিবেগুণী রশ্মির মাধ্যমে হাসপাতাল ও বিমান জীবাণুমুক্ত করার কাজে। সার্ভিস রোবট ব্যবহার হচ্ছে অন্যের সংস্পর্শে না এসেই পণ্য ডেলিভারি দেয়ার কাজে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন নিতে কিংবা দূরে বসে ক্লাস করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যাভাটার রোবট।

সূর্যদয়ের দেশ জাপান দীর্ঘদিন থেকেই শিল্পখাত ও সার্ভিস রোবট উৎপাদনের শীর্ষ দেশ। মহামারির প্রভাবে দেশটিতে এমন রোবট তৈরির পরিমাণ আরও বেড়েছে। দেশটি জোর দিয়েছে সার্ভিস রোবট উন্নয়ন ও গবেষণায়।

সার্ভিস রোবটের মধ্যে অ্যাভাটার রোবট অনেকসময় ‘টেলিপ্রেসেন্স’ হিসেবে পরিচিত। রোবটগুলো দূরে কোথাও উপস্থিতির কাজে ব্যবহার করা হয়। দূর থেকে অপারেটর করা যায় বলে মহামারিতে বিভিন্ন প্রোজেক্ট ও দূরের কোথাও উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে।

জাপানের টোকিওর এক স্টার্টআপ ‘ওরে ল্যাবরেটরিজ’ অ্যাভাটার রোবট তৈরি ও উন্নয়নের কাজ করেছে। মহামারি সময়ে এটি শুধু বাসা থেকে অফিসের কাজ করার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে না, যাদের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের সেবার জন্যও এটি ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আরেক রোবট ‘ওরেহিমে বিজ’ ডেক্সটপ যোগাযোগের রোবট; যাকে কাজে লাগানো যায় স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা পিসি ব্যবহার করে। ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার রোবটটিতে রয়েছে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার। শিশুদের ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের ভার্চুয়াল ক্লাস করার জন্য ওরেহিম রোবট ব্যবহার হচ্ছে। এমন কি রোবটটি এখন সমাবর্তন নিতেও স্টুডেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।

ওরে ল্যাবরেটরিজের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সুকি আকি বলেন, ‘মহামারির শুরু থেকে সামাজিক দূত্বর বজায় রাখার কাজে লাগাতে ওরেহিম খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে। এর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে দূর থেকে কনফারেন্সে যোগ দেয়ার কাজটি অন্যতম।’

ওরে ল্যাবরেটরিজ স্থানীয় সরকারের সঙ্গে মিলে ডেনমার্ককে বেশকিছু এমন রোবট সরবরাহ করবে। যেসব শিশু বাড়ি বা হাসপাতালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তাদের সঙ্গ দেবে রোবটটি।

ওরে রোবটিক্সের সিওও সুকি বলেন, ‘২০৫০ সালের মধ্যে আমরা রোবটি দিয়ে নার্সিং সেবাকে উন্নত করতে চাই। এসব রোবট দিয়ে বয়স্কদেরও সেবা দিতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর