ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারলুপের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সম্প্রতি কোরিয়ান রেল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (কোরাইল) বিষয়টি জানিয়েছে।
কোরাইলের পক্ষ থেকে বলা হয়, একটি ‘হাইপার-টিউব ট্রেন’ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ এক হাজার ১৯ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম হয়েছে।
বিজনেস কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, স্কেল মডেলে পরীক্ষাটি করা হয়। বিশ্বে এ ধরনের পরীক্ষা এটাই প্রথম।
এর আগের পরীক্ষায় ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৭১৪ কিলোমিটার।
২০২৪ সালের মধ্যে হাইপারলুপ নেটওয়ার্ক শুরুর আশা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে তিন ঘণ্টার বদলে আধা ঘণ্টায় সিউল থেকে বুসানে যাওয়া যাবে।
সিউল থেকে বুসানে যেতে উচ্চ গতিসম্পন্ন বুলেট ট্রেন এমনিতেই আছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ওই যাত্রাপথকে সুপারসনিকের কাছাকাছি নিতে আগ্রহী।
২০১২ সালে পরিবহনের এই বৈপ্লবিক প্রযুক্তির ধারণাটি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও ইলেকট্রিক কার কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক। তিনি জানান, ওই প্রযুক্তি উন্নয়নের সময় তার হাতে ছিল না।
গত সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে ৫০০ মিটার এলাকায় হাইপারলুপের গতির পরীক্ষা চালায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবহন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভার্জিন হাইপারলুপ।
প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জোস গিগেল জানান, পরীক্ষাটি শুধু ১৫ সেকেন্ডের হলেও ঘণ্টায় ১৭২ কিলোমিটার গতিতে যেতে সক্ষম হয় হাইপারলুপটি।
সম্প্রতি ফ্রান্স, ভারত, সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য এই প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করে।
হাইপারলুপ টিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডার্ক এহলবর্ন জানান, পরিকল্পনা অনুমতি পেতে ও নিয়ন্ত্রক বাধা পেরোতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বেশি সহায়ক। এটি বিশ্বে প্রথম হাইপারলুপ গণপরিবহন ব্যবস্থা হতে যাচ্ছে।