মোবাইল অপারেটরগুলো আগে নিজেরাই নিজেদের টাওয়ার নির্মাণ করত। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টাওয়ার নির্মাণে নতুন নীতিমালা করে টাওয়ার নির্মাণের জন্য মোবাইল অপারেটর ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করে। সেই লাইসেন্স পাওয়ার পর প্রথম টাওয়ার চালু হয়েছে।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে টাওয়ার নির্মাণ শুরু হওয়ায় মোবাইল সেবা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, তাদের তত্ত্বাবধায়নে টাওয়ার নির্মাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে বাংলালিংক ও সামিট টাওয়ারস লিমিটেড (এসটিএল) প্রথম মোবাইল টাওয়ারটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে। জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের টাওয়ারটি প্রতিষ্ঠান দুটির চুক্তির পর প্রথম। তারা একত্রে ২৫৯টি টাওয়ার নির্মাণ করবে।
আরেক টাওয়ার অপারেটর এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন মঞ্জুরুল হাসান কমিশনকে জানিয়েছেন, তারার আগামী তিন মাসে ৩০০ টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল অপারেটর রবির সঙ্গে এগুলো নির্মাণ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি সবসময় নতুন ধরনের নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখতে আগ্রহী, যাতে টেলিকম অপারেটরগুলো আরও ভালোভাবে গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পারে। টাওয়ারকো নীতিমালা বাস্তবায়ন করে তারা সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।’
২০১৮ সালে বিটিআরসি চার টেলিকম টাওয়ার লাইসেন্স হস্তান্তর করে। লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুযায়ী, টাওয়ার কোম্পানিগুলো মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করে সেগুলো মোবাইলফোন অপারেটরদেরকে সার্ভিস ফির বিনিময়ে ব্যবহার করতে দিতে পারবে।