কোভিড পরবর্তী নতুন পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ও নেতৃত্ব দিতে ১৬টি অ্যাকশন পয়েন্ট ও ৯০টি অ্যাকশন এজেন্ডা চিহ্নিত করে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
মঙ্গলবার ‘কোভিড পরবর্তী রোডম্যাপ’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোডম্যাপে অংশীদারিত্বের জায়গা আরও সম্প্রসারণ করে সরকার, ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজকে একত্রিত করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
সভায় একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে কর্মকর্তা, গবেষক ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আমরা অবশ্যই আত্মনির্ভরশীল হলেও আত্মকেন্দ্রিক হব না। বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ বন্ধ করব না। আর এই লক্ষ্য নিয়েই রোডম্যাপটি তৈরি।’
তিনি বলেন, ‘মহামারি মোকাবিলায় গত আট মাসে ১১ বছরে গড়ে তোলা প্রযুক্তি অবকাঠামো মূল ভূমিকা পালন করেছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও বিচারিক কার্যক্রম চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে।
‘রোডম্যাপ অনুযায়ী পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য ডেটা প্রাইভেসি ও প্রোটেকশন অ্যান্ড লোকালাইজেশন আইন, স্টার্টআপ পলিসি, দক্ষতা তৈরির ম্যাপিং প্রণয়ন এবং তরুণ ও নারীদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা করা হবে।’
আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরষদ বিভাগের সচিব কামাল হোসেন, এটুআই উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের উপদেষ্টা টিনা জাবিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এলআইসিটি উপদেষ্টা সামি আহমেদ।