বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুরি নয়, সেই ইঞ্জিন ইউনাইটেড এয়ারের জিম্মায়

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১৮:৪১

যে ইঞ্জিনটি চুরি হয়েছে বলে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে, তার ওজন এক টনের বেশি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এত ওজনের একটি জিনিস কেউ নিজে নিজে নিয়ে যেতে পারে না। ইউনাইটেড এয়ার সেই ইঞ্জিনটি খুলে নিয়েছিল। তাদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেটি হয়তো আর লাগানো হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরির যে খবরে তোলপাড়, তা অসত্য বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ইঞ্জিনটি ইউনাইটেড এয়ারের জিম্মায় আছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি পুনর্গঠন হয়েছে। নতুন বোর্ডের একজন সদস্যও বলেছেন, ইঞ্জিন চুরি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

২০১৬ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় থেকেই শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারের ৯টি উড়োজাহাজ। সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই উড়োজাহাজগুলোর একটির ইঞ্জিন বিমানবন্দর থেকে চুরি হয়েছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইঞ্জিনটা এয়ারক্রাফটের সঙ্গে নেই এটা সত্য। কিন্তু এটা চুরি বা গায়েব হয়নি। ইউনাইটেড আমাদের বলেছে, এটা তাদের হেফাজতে আছে। তবে কত দিন আগে হেফাজতে নিয়েছে, এটা আমার জানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিন তো ছোট কোনো জিনিস নয়, এটা তো ইচ্ছা করলেই নিয়ে যাওয়া যায় না।’

যে বিমানের ইঞ্জিন গায়েব হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেটি মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা ম্যাকডোনেল ডগলাসের তৈরি এমডি এইটি থ্রি মডেলের বিমান। এর মোট ওজন ৬৩ হাজার ৩০০ থেকে ৭৩ হাজার কেজি।

এ ধরনের উড়োজাহাজে ইঞ্জিন থাকে দুটি। একেকটি ইঞ্জিন কত ওজনের সে বিষয়ে জানতে চাইলে একজন পাইলট নিউজবাংলাকে বলেন, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন ১ হাজার ১৩৬ কেজি।

বিমানবন্দর থেকে দুই টন ওজনের ইঞ্জিন কাউকে না জানিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, এমন কোনো সুযোগই নেই- বলছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান।

তবে ইউনাইটেড এয়ার সেই ইঞ্জিনটি কবে নিয়ে গেছে, সেটি কাজগপত্র না দেখে বলার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

২০১৬ সালে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইউনাইটেড এয়ারের ৯টি উড়োজাহাজ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেলে রাখা হয়েছে

দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে প্রথম পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরু করা এয়ারলাইনসটি হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ২০১৬ সালে। সে সময় তাদের বহরে ১০টি উড়োজাহাজ ছিল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এয়ারলাইনসটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ কমিশন- বিএসইসি। নতুন পর্ষদে ইউনাইটেড এয়ারের আগের পর্ষদের কাউকেই রাখা হয়নি। তবে দায়িত্ব নেয়ার পর এখনও পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো পরিদর্শনের অনুমতি পায়নি এয়ারলাইনসটির নতুন পর্ষদ।

আগের পর্ষদের কারও বক্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে এয়ারলাইনসটির বকেয়া ২০৩ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা। সম্প্রতি বকেয়া আদায়ে এয়ারলাইনসটির পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো নিলামে তুলতে চেয়েছিল বেবিচক। কিন্তু পরে নতুন পর্ষদের অনুরোধে আপাতত নিলাম স্থগিত রাখা হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ারের নতুন পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো দায়িত্ব নেয়ার পর এখনও ঢুকতে পারিনি। তাই বলতেও পারছি না। কিন্তু এটা কোথা থেকে কে খবর দিল, তাও জানি না। আমরা মনে করি, এটা হারানোর কোনো উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিন তো আর ছোট জিনিস না। তবে আমরা যতক্ষণ না ভেতরে যেতে পারছি বুঝতে পারছি না। নিশ্চয়ই এটা এয়ারক্রাফট থেকে খুলে রাখা হয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত নই। তবে এটা চুরি করে কেউ নিয়ে যাবে, এটাও সম্ভব না।’

এ বিভাগের আরো খবর