পুঁজিবাজারে বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির প্রবণতার মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা বিরলই বলা যায়। দিনের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে ফেলা ২৭টি কোম্পানির মধ্যে ২০টি কোম্পানি হয় উৎপাদনে নেই, নয় বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে ধুঁকছে।
দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর কখনও লভ্যাংশ ঘোষণার ইতিহাস নেই- এমন কোম্পানি যেমন আছে, তেমনি অদূর ভবিষ্যতেও লভ্যাংশ দিতে পারবে না, এমন কোম্পানিও আছে।
২০১০ সালের মহাধসের পর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সোমবার। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই লেনদেনের দিন ১০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে মোট ২৬টির।
সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দাম বাড়তে পারলেও শতকরা হিসেবের কারণে দাম কখনও কখনও কিছুটা কম বাড়তে পারে। এর কারণ, দাম বাড়া বা কমার সর্বনিম্ন পার্থক্য ১০ পয়সা থাকা।
যেমন, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দাম আগের দিন ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা ১০ শতাংশ হয় ৪৯ পয়সা। কিন্তু এই পরিমাণ লেনদেনের সুযোগ নেই পুঁজিবাজারে। ৪০ পয়সা অথবা ৫০ পয়সা হতে হবে। কিন্তু বাড়তি দাম ৫০ পয়সা হলে সেটি শতকরা ১০ শতাংশ অতিক্রম করে যায়। তাই সর্বোচ্চ দাম বাড়ার সুযোগ ছিল ৪০ পয়সা আর সেটি শতকরা হিসেবে হয় ৮.১৬ শতাংশ।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বেশ কিছু বন্ধ, লোকসানি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেগুলোতে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে উৎপাদনে চলে আসে আলহাজ টেক্সটাইল ও রিংশাইন টেক্সটাইল। আর এমারেল্ড অয়েল আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
কোম্পানিগুলো কখন বা আদৌ চালু হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় ছিল। তবে এখন বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় আছেন।
কিন্তু বিএসইসির বোর্ড পুনর্গঠন মানেই যে সব কোম্পানি উৎপাদনে আসবে এমন নয়। কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এর আগে নিউজবাংলাকে বলেছেন, নতুন বোর্ড কোম্পানির দায়, দেনা, সম্পদের বিষয়টি বিবেচনা করে তা অবসায়নেরও সুপারিশ করতে পারে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কয়েকটি কোম্পানি নিয়ে তারা হতাশ। এগুলো আদৌ চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। সে ক্ষেত্রে তারা মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন।
তবে এ বিষয়ে এখনো বিএসইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি আর তার আগেই শেয়ার মূল্য বেড়ে গেছে বহুগুণ। আর এই দাম বৃদ্ধি থামার নাম নেই।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লোকসানি কোম্পানি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রত সংস্থার ও কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বিনিয়োগকারীরা যেখান থেকে মুনাফা হবে সেখানেই বিনিয়োগ করবে। এসব কোম্পানির শেয়ার অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। তবে দরবৃদ্ধির শেষ বলটি যার হাতে পরে তিনিই লোকসানের মুখে পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে অনেক লোকসানি কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের এমন আগ্রহ দেখা গেছে। এমন সব কোম্পানির উত্থান সবসময় স্বল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে। আর পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ক্ষেত্রেও কোনো ভূমিকা থাকে না। এ অবস্থা সব সময় হয়ে থাকে। বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। মুনাফার পাশাপাশি ভালো কোম্পানির প্রতিও তাদের আগ্রহী হতে হবে।’
বোর্ড পুনর্গঠন করা যেসব কোম্পানি হল্টেড
কোনো কোম্পানির শেয়ার দর দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে ফেলার ঘটনাটি পুঁজিবাজারে হল্টেড নামে পরিচিতি পায়।
বিএসইসি যেসব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে, সোমবার হল্টেড হয়েছে তার মধ্যে ৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ বেড়েছে বিআইএফসির দর। দাম ৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
গত ২২ জানুয়ারি বোর্ড পুনর্গঠন করা বিআইএফসি ২০১৮ সালের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক বিবরণীই এখনও প্রকাশ করেনি। ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা লোকসান, ৬৬ টাকা ৪০ পয়সা দায়, ৭৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণাত্মক রিজার্ভ থাকা কোম্পানিটি ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কেবল হিসাব দিয়েছে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৭৯ পয়সা, আর শেয়ারপ্রতি দায় ছিল ৮৪ টাকা ২৪ পয়সা।
এমন দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দর বোর্ড পুনর্গঠনের আগের দিন ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
বোর্ড পুনর্গঠনের পর উৎপাদনে আসা রিংসাইন টেক্সটাইল হল্টেড হলো টানা দুই দিন। ৯.৬৪ শতাংশ বেড়ে ১১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ২৭ জানুয়ারি বোর্ড পুনর্গঠনের সময় কোম্পানিটি সে সময়ের ফ্লোর প্রাইস (বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দাম) ৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল। ফ্লোর তুলে দেয়ার পর দাম দাঁড়ায় ৪ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর কোম্পানিটি উৎপাদন শুরুর পথে এগিয়ে যেতে থাকলে দাম বাড়তে থাকে। ঈদের আগে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। আর এখন আরও একটি ইউনিটে উৎপাদন শুরুর সংবাদ এসেছে গণমাধ্যমে।
তালিকাভুক্তির পর উদ্যোক্তা পরিচালকরা বিনা ঘোষণায় শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ও ফ্যামিলি টেক্সটাইলের দামও বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে।
সিঅ্যান্ডএর দাম ৮.৯৫ শতাংশ বেড়ে ৬ টাকা ৭০ পয়সার শেয়ার হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
ফ্যামিলি টেক্সটাইলের দর ৮.৭৭ শতাংশ বেড়েছে। দাম ৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।
খেলাপি ঋণের কারণে আর্থিক খাতের ডুবে যাওয়া তিন কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফাস ফিনান্স ও ফারইস্ট ফিনান্সের দরও বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইনান্সের দর ৯.৫৭ শতাংশ বেড়ে ৯ টাকা ৪ পয়সা থেকে হয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সা।
গত ৩০ জুন বোর্ড পুনর্গঠনের দিন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা।
কোনো সম্পদ নেই, উল্টো শেয়ারপ্রতি দায় ১১৩ টাকা ৬৩ পয়সা। কোম্পানির রিজার্ভে কোনো অর্থ নেই, উল্টো দায় ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ১২৬ টাকা ৩৬ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব এখনও প্রকাশ করেনি। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ারে লোকসান ছিল ১১ টাকা ৩৮ পয়সা।
সোমবার হল্টেড হয়েছে যে ২৬টি কোম্পানি তার মধ্যে ২০টিই বন্ধ বা লোকসানি। এগুলো থেকে লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ
ফাস ফিনান্সের দর ৯.১৯ শতাংশ বেড়ে ৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা।
আলোচিত ব্যাংকার পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের মতোই ডুবেছে ফাস ফিনান্স।
কোম্পানিটির বোর্ড পুনর্গঠন করা হয় গত ৩১ মার্চ। পরদিন শেয়ার দর ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয় ৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
তবে সম্প্রতি লোকসানি কোম্পানিতে যে জোয়ার তৈরি হয়েছে, তাতে এই কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়ছে।
এই কোম্পানিটি ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ১০ টাকা ১২ পয়সা। তখন শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মাত্র ১ টাকা ৯৩ পয়সা। তবে এখন নিশ্চিতভাবেই তা ঋণাত্মকে চলে গেছে। কারণ, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৫৪ পয়সা। কোম্পানির রিজার্ভে দায় আছে ১ হাজার ২০২ কোটি ৮০ লাখ টাকার।
ফারইস্ট ফিনান্সের দর ৮.৯৮ শতাংশ বেড়ে ৮ টাকা ৯০ শতাংশ থেকে হয়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা।
ফাস ফিনান্স ও এই কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন হয়েছে একই দিনে। সেদিন শেয়ার মূল্য ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা।
২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৩৮ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালে ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব এখনও প্রকাশ করেনি। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা লোকসান ছিল কোম্পানিটির।
নানা গুঞ্জনে বাড়ছে যেগুলোর দর
বস্ত্র খাতের তাল্লু স্পিনিংয়ে মালিকানা বদলের গুঞ্জন আছে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাবই দেয়নি।
কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে গত ৫ এপ্রিল থেকে। সেদিন দর ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। সবশেষ ৫ কর্মদিবসের মধ্যে চারটিতেই বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
আজ বেড়েছে ৯.৫৬ শতাংশ। ১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ৬০ পয়সা।
গত ৩ আগস্টও দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর ৬ কর্মদিবসে বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
তুংহাই নিটিংয়ের দর ৯.০৯ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে হয়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি নিয়ে অন্ধকারে বিনিয়োগকারীরা। তারা ২০১৭ সালের আর্থিক বিবরণীই প্রকাশ করেনি। অথচ গত ৮ জুন থেকে দাম বেড়ে হয়ে গেছে প্রায় তিন গুণ। সেদিন শেয়ার দর ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা।
উৎপাদন শুরুর আভাসে বাড়ছে যেগুলো
দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়া স্টাইলক্রাফটের দাম ৯.৯৮ শতাংশ বেড়ে ১৬৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৮৫ টাকা হয়েছে একটি বিশেষ ঘোষণায়। শ্রমিকদের সঙ্গে বিরোধে কোম্পানিতে উৎপাদন বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন।
গত ১২ আগস্ট ঘোষণা আসে আগামী ২৫ আগস্ট থেকে কোম্পানি উৎপাদন শুরু করবে। পরিশোধ করা হবে সব বকেয়া বেতন-ভাতা।
লোকসানে জর্জরিত সরকারি চিনিকল শ্যামপুর সুগারের দাম বৃদ্ধি থামার নাম নেই। কখনও লোকসান দিতে না পারা কোম্পানিটির শেয়ার দর সম্প্রতি উড়তে শুরু করেছে।
কেবল ৫ কর্মদিবসে ৪০.৯৯ শতাংশ বেড়ে ৬২ টাকা ২০ পয়সার শেয়ার হয়ে গেছে ৮৭ টাকা ৮০ পয়সা। আজ বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ।
গত বছর শেয়ার প্রতি ১২১ টাকা ৩৮ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা লোকসান দিয়েছে।
লোকসানি কোম্পানি জুট স্পিনার্সের পরিচালনা পর্ষদকে গত ২৫ মে আরও ১০টি কোম্পানির সঙ্গে তলব করে বিএসইসি। তলব করার দিন শেয়ার দর ছিল ৯৮ টাকা। বর্তমান দাম ১৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
আজ বেড়েছে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।
গত বছর আগুনে পুড়ে যাওয়া আরএন স্পিনিং মূলধনী যন্ত্রপাতি আনাতে এলসি খুলেছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। গত ১১ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। আজ ৯.০৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮ টাাক ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার আগের কর্মদিবসে দাম ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
গত জানুয়ারিতে কারখানায় আগুনে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া জাহিন স্পিনিং মিলসে সম্প্রতি উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। এরপর থেকে এটি ছাড়াও একই গ্রুপের আগের কোম্পানি জাহিন টেক্সটাইল মিলসের দাম বাড়ছে। আজ দুটি কোম্পানির মধ্যে জাহিন স্পিনিংয়ের দাম বেড়েছে ৯.৭৩ শতাংশ আর জাহিন টেক্সটাইলের ৯.৯০ শতাংশ।
জাহিন স্পিনিং ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা, জাহিন স্পিনিংয়ের দাম ১০ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা।
চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে জাহিন স্পিনিংয়ে ১ টাকা ৩৭ পয়সা আর জাহিন টেক্সটাইলে শেয়ার প্রতি লোকসান ২ টাকা ৫২ পয়সা।
বিপুল লোকসানে জর্জরিত বস্ত্র খাতের সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ারদর বাড়ছে গত ২৯ এপ্রিল থেকে। সেদিন শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা।
গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দেয়ার কোম্পানিটির শেয়ারপর আজও ৯.৮৬ শতাংশ বেড়ে ২৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হযেছে ৩২ টাকা ৩০ পয়সা।
অন্যগুলো
২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া এবং ২০২০ সালের সমাপ্ত অর্থবছরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা লোকসান দেয়া ফার্স্ট ফিনান্সের শেয়ারদর বাড়ছে গত ২৮ জুন থেকে। সেদিন শেয়ারদর ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা।
আজ দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা। বেড়েছে ১০ শতাংশ। আগের কর্মদিবসে দাম ছিল ৮ টাকা।
২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ দিতে না পারা ইউনিয়ন ক্যাটিপালের দার ৯.১৮ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ার দর ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৩ টাকা ৮ পয়সা। চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৫৯ পয়সা। জুনে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ হলেও আর্থিক বিবরণী এখনও প্রকাশ পায়নি।
কখনো লভ্যাংশ দিতে না পারা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক মুনাফার মুখ দেখতে পারেনি ২০০৬ সালে কোম্পানি পুনর্গঠনের পর থেকে। তবে ব্যাংক খাতে সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বাড়ছে এই কোম্পানিটির শেয়ারদরই।
গত ২৯ জুন শেয়ারদর ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ৩০ পয়সা। বেড়েছে ৩৫.৮৯ শতাংশ। এই সময়ে ব্যাংক খাতের অন্য কোনো কোম্পানির দাম এই হারে বাড়েনি।
আজ বেড়েছে ৮.১৬ শতাংশ।
কখনও লভ্যাংশ দিতে না পারা সাভার রিফ্যাকটরিজের নাম প্রায় সময়ই ব্যাপকভাবে বাড়ে আবার তা কমে আসে।
গত ২ আগস্ট দাম ছিল ২০৯ টাকা। আজ ৮.৭৮ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ২৬৯ টাকা। কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে। চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে লোকসান ৬৯ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য মাত্র ৬ টাকা ২৮ পয়সা।