ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইনান্স অর্থবছর শেষ হওয়ার সাড়ে আট মাসের মাথায় তাদের লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। করোনার বছরে তারা আগের বছরের তুলনায় বেশি আয় করে লভ্যাংশ সামান্য বাড়িয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৫.৫ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫৫ পয়সা দেয়া হবে নগদে আর সাড়ে ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ১১টি দেয়া হবে বোনাস শেয়ার।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয় ২০২০ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা, মহামারি আসার আগের বছর ২০১৯ সালে যা ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ২৩ পয়সা বা ১৭.৪২ শতাংশ।
২০১৯ সালে ১০.৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি, যার পুরোটাই ছিল বোনাস। অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ২১টি শেয়ার পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
কোনো অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হলেও এবার করোনার কারণে আরও ৩০ কর্মদিবস সময় বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে বিশেষ কোনো কারণে এর মধ্যেও লভ্যাংশ ঘোষণা করতে না পারলে সময় বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে।
আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে মুনাফায় থাকা উত্তরা ফিনান্স প্রিমিয়ার লিজিং এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
এ ছাড়া লোকসানি বিআইএফসি লভ্যাংশ ঘোষণা করে না ২০১৯ সালের পর থেকেই। আরও ফারইস্ট ফিনান্স, ফার্স্ট ফিনান্স ছাড়াও ব্যাংকার পিকে হালদার কাণ্ডে ডুবে যাওয়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফাস ফিনান্সও অর্থবছর শেষে আয় ব্যয়ের হিসাব দেয়নি। এসব কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ পাওয়ার আশা ক্ষীণ।