বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬০ শতাংশ শেয়ার: বিমা খাতে দর পতনেও উজ্জ্বল স্ট্যান্ডার্ড

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ১৬:০৭

জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশোধনে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো ১৬ থেকে ৩০ শতাংশের মতো দর হারিয়েছে। কিন্তু এই সময়ে একমাত্র কোম্পানি হিসেবে ২৯ শতাংশের মতো দর বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের। এ্ সময়ে পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা পূরণে আট জনের ৬০ লাখের বেশি শেয়ার কেনার ঘটনা ঘটেছে।

গত ৮ জুন ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। কমতে কমতে এখন দাম ৮০ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২৮.০৮ শতাংশ।

গত ৯ জুন সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দাম ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমান দাম ৮২ টাকা ২০ পয়সা। দর কমেছে ২৯.২২ শতাংশ।

গত ৮ জুন রূপালী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ছিল ৫১ টাকা ৭০ পয়সা। বর্তমান দর ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। দর কমেছে ১৬.৬৩ শতাংশ।

গত ১৬ জুন রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ১৩১ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমান দর ১০৫ টাকা ৯০ পয়সা। দর কমেছে ১৯.৫২ শতাংশ।

গত ১৪ জুন পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ২০৮ টাকা ৯০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর শেয়ার দর ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ারের হিসাব ধরলেও দর দাঁড়ায় ১৪৭.৭০ টাকা। এই হিসাবে দর কমেছে ২৯.২৯ শতাংশ।

জুনের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বিমা খাতে দর সংশোধনে কোম্পানিগুলো কী পরিমাণ দর হারিয়েছে, তা এ থেকে বোঝা যায়।

তবে এই খাতের ভাটার টানের মধ্যেও একটি কোম্পানি কেবল ঠাঁই দাঁড়িয়ে নয়, এই সময়েও দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

গত ৮ জুন স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ছিল ৬৪ টাকা ৮০ পয়সা আর বর্তমান দর ৮৩ টাকা ৩০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১৭ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৬.৮৫ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ডের এই উত্থান কেন, সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া কঠিন। তবে একটি ঘটনা এই সময়ে ঘটেছে। সেটি হলো উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা এই সময়ে পূরণ হয়েছে।

গত জুনে কোম্পানিটির আটজন উদ্যোক্তা পরিচালক ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৯টি শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। ২৮ জুন সেই শেয়ার কেনা শেষ হয়। এর ফলে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের অংশের শেয়ার প্রায় ১৩.৯৫ শতাংশ বেড়ে যায়। আর বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৫ শতাংশ এখন উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।

এই ক্রয় শেষ হওয়ার পরে কোম্পানির শেয়ার দর আর কমেনি। যদিও এই খাতের প্রায় সবগুলো কোম্পানি বেশ ভালো পরিমাণে দর হারিয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করেছে।

বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে এমন সিদ্ধান্ত ২০১০ সালের। কিন্ত ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ নতুন করে সবকটি বিমা কোম্পানির কাছে পাঠালে এ নিয়ে শুরু হয় হুলস্থল।

বিমা আইন ২০১০-এর ২১(৩) ধারার তফসিল-১-এ বলা হয়েছে, দেশে নিবন্ধিত জীবন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকা, যার ৬০ শতাংশ আসবে উদ্যোক্তাদের কাছ থাকে। বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।

সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা, যার ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তারা দেবেন। বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।

এক দশকে এই বিধান কার্যকর না হলেও গত বছর বিষয়টি সামনে আসে। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ জানায়, উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে শেয়ার কিনতে হবে।

আর গত এক বছরে কোনো কোনো বিমা কোম্পানির শেয়ার দর ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যান্য নানা কারণের পাশাপাশি এই ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিধিবিধানও একটি কারণ হিসেবে ধরা হয়।

মে মাস শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫১.৩৬ শতাংশ শেয়ার ছিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল ৪১.৭৪ শতাংশ শেয়ার।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ২৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ৬০ শতাংশের শর্ত পূরণ করলে যে পরিমাণ শেয়ার কিনতে হতো, তার চেয়ে দেড় গুণেরও বেশি কিনেছে উদ্যোক্তা পরিচালকরা।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব কাউসার মুন্সি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইডিআরএ যে আইন আছে সেটি পরিপালনেই কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন।’

গত ২০ জুন আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম মোশাররফ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে বলেন, ‘তাদের (উদ্যোক্তা-পরিচালকরা) পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনতে হবে। এজন্য হঠাৎ করে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রেও জটিলতা আছে। তবে যেহেতু এটি আইনগত বিষয়, তাই জটিলতা থাকলেও আইগনত বিষয়টিকেই আমরা গুরুত্ব দেবো।’

তবে বিধান করার ১০ বছরেও উদ্যোক্তা পরিচালকদের এই শেয়ার কিনতে বাধ্য করা হয়নি। আর শেয়ার না কিনলে বোর্ড পুনর্গঠন বিয়ে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। অথচ গত এক বছরে বিমার শেয়ারে ঊর্ধ্বগতির যেসব কারণ আছে বলে ধারণা করা হয়, তার মধ্যে এই বিষয়টিও আছে বলে ধারণা করা হয়।

উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ১০ বছর আগের একটি বিধান সম্প্রতি তুমুল আলোচিত হয়েছে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এস এম শাকিল আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের একটি নির্দেশনা আছে বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ভিত্তিতে শেয়ার কেনার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনেক বিমা কোম্পানির ব্যবসা মুখ থুবরে পড়েছে। অনেক কোম্পানি জনবল কামিয়েছে। এ অবস্থায় বিমা কোম্পানিগুলোকে কিছুটা সময় দিতে হবে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সময়ে দেয়া উচিত।’

কর্তৃপক্ষের অন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক মাসে বিমা কোম্পানির বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের একজন পরিচালককে ৮ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলছেন, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণে বিমার শেয়ার নিয়ে কারসাজি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যারা যদি যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতো তাহলে সেটি এতদিনে বাস্তবায়ন হয়ে যেত। এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিমা শেয়ার দর যেভাবে বেড়েছে তার যৌক্তিকতা হারিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীরাও যে কোনো নির্দেশনা আসলেই সেটি ধরেই বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেটিতে কোম্পানির কী হবে, কোম্পানির আর্থিক অবস্থা কী হবে সেটি যাচাই বাছাই করে না। এতে স্বল্প সময়ে মুনাফা পাওয়া গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে লোকসানে পড়তে হয়।’

যেসব কোম্পানির শেয়ারের ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে

ক্রিস্টাল, দেশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৬০ শতাংশ করে শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকরা ধারণ করে আছেন। আর রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সে মালিকদের হিস্যা সবচেয়ে বেশি, ৬৪.২৪ শতাংশ। ৬১ দশমিক ৩৫ শতাংশ আছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সে।

প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি আছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার যেসব কোম্পানিতে

বেশ কিছু বিমা কোম্পানি আছে যাদের উদ্যোক্তা পরিচালকদের অল্প কিছু শেয়ার কিনলেই বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের শর্ত পূরণ করা সম্ভব। যেমন ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সে যত শেয়ার আছে তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হিস্যা আছে ৫৫.৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ সাড়ে চার শতাংশের মতো শেয়ার কিনতে হবে তাদের।

ন্যাশনাল লাইফে এই হিস্যা ৫৪.৯২ শতাংশ। তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালকদের কিনতে হবে ১০ শতাংশেরও কম শেয়ার। এই কোম্পানিতে তাদের হিস্যা ৫০.৮৭ শতাংশ।

৪০ শতাংশের বেশি

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সে ৪৮.৬১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে আছেন উদ্যোক্তা পরিচালকদের। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সে এই হার ৪৮.৪৯ শতাংশ।

মালিকদের শেয়ার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে আছে অন্য যেসব বিমা কোম্পানিতে, তার মধ্যে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে ৪৮.২৭ শতাংশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৪৬.২৬ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৪৫.৬২ শতাংশ, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ৪৩.১৩ শতাংশ, সোনালী লাইফের ৪৩ শতাংশ, প্রগতি লাইফের ৪১.৩২ শতাংশ এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে আছে ৪০.৮০ শতাংশ।

৩৫ শতাংশের বেশি

মালিকদের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে এমন বিমা কোম্পানির সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে আছে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (৩৯.৬৬ শতাংশ), ইসলামী ইন্স্যুরেন্স (৩৯.৪৯ শতাংশ), সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স (৩৯ শতাংশ), প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৩৮.৮২ শতাংশ), ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স (৩৮.২৬ শতাংশ), প্রগতি ইন্স্যুরেন্স (৩৮.১০ শতাংশ), প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৩৮.০৮ শতাংশ), ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স (৩৭.৮০ শতাংশ), সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স (৩৬.৭৮ শতাংশ), ডেল্টা লাইফ (৩৬.৬৪ শতাংশ), জনতা ইন্স্যুরেন্স (৩৬.১৭ শতাংশ), গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স (৩৫.৬৭ শতাংশ), নিটোল ইন্স্যুরেন্স (৩৫ শতাংশ)।

৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ যাদের

পদ্মা লাইফ (৩৪.৭৯ শতাংশ), সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (৩৪.০৬ শতাংশ), বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (৩৩.৯৮), গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স (৩৩.৮৪ শতাংশ), মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স (৩২.৮৫ শতাংশ), কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স (৩২.২৫ শতাংশ), রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৩২.০৭ শতাংশ), পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (৩১.৭৫ শতাংশ), রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স (৩১.৬৭ শতাংশ), সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৩১.৫৯ শতাংশ), নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স (৩১.৫৫ শতাংশ)।

এখন যত শেয়ার ধারণ করে আছেন উদ্যোক্তা পরিচালকরা, তার সম পরিমাণ কিনতে হবে আটটি কোম্পানির।

এর মধ্যে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালকদের কিনতে হবে ২৯.৪৫ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ২৯.৪৮ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ও পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৫৯ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৭০ শতাংশ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৮২ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৮৫ শতাংশ এবং প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৯৭ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর