পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) অর্ধবার্ষিকীতে আগের বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন করা হিসাবে বলা হয়েছে, অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছরের এ সময়ে আয় ছিল ১১ টাকা ১২ পয়সা।
এ হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৪ টাকা ৮৪ পয়সা বা ৪৪ শতাংশ।
কোম্পানিটি এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৬০ শতাংশ।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস প্রকাশ করা হয়েছিল ২১ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ৮৭ পয়সা।
পরে অবশ্য লভ্যাংশের সমন্বয় করে ইপিএস কম হবে বলেও জানানো হয়।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ২০০ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি করে বোনাস দিয়েছে। এ কারণে এই ইপিএসে সমন্বয় হয়ে তিন ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৭ টাকা ১৭ পয়সা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে ১৯৭৭ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি এই আয় ছিল ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা। আয়ের পুরোটাই তারা নগদে বিতরণ করেছে। এর অর্ধেক অবশ্য দেয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন। আর ৩০ টাকা দেয়া হয়েছে চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে।
পাশাপাশি ২০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি বোনাস শেয়ার দিয়েছে।
মহামারির বছরে এই আয় আগের বছরের তুলনায় ছিল অনেক বেশি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির আয় ছিল ৯৩৬ কোটি টাকার মতো। তার আগের বছর আয় ছিল ১ হাজার কোটি টাকা।
গত তিন বছরে কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন তিনগুণ করেছে। ৬০ কোটি টাকা থেকে ১৮০ কোটি টাকায় উত্তীর্ণ এই মূলধন আরও তিনগুণ বাড়িয়ে ৫৪০ কোটি টাকা করেছে।
পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর পাশাপাশি কোম্পানিটি কারখানা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে এই কারখানা সম্প্রসারণে বরাদ্দ রাখা হয় ১৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৯.১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশিদের হাতে। ৭২.৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। মাত্র ৫.৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে মোট শেয়ারের ১১.৯৭ শতাংশ।