বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকে সুদিনের হাওয়া লাগেনি এমটিবিতে

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ২২:১৩

২০২০ সালেও যেসব ব্যাংকের আয় কমে গিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে অবশ্য কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল কোম্পানিটির।দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ২৭ পয়সা আয় করতে পেরেছে ব্যাংকটি, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৯ পয়সা।

মহামারির দ্বিতীয় বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় সব ব্যাংক তাদের আয় ব্যাপকভাবে বাড়াতে পারলেও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক বা এমটিবি তা পারেনি।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পর দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে আয় কমেছে এটিরও।

বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে জানানো হয়েছে, অর্ধবার্ষিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮ পয়সা আয় করেছে এমটিবি পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

২০২০ সালেও যেসব ব্যাংকের আয় কমে গিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে অবশ্য কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছি।

জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল কোম্পানিটির। আগের বছর এই আয় ছিল ৭২ পয়সা।

অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ২৭ পয়সা আয় করতে পেরেছে, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৯ পয়সা।

এমটিবির আয় কমলেও করোনাকালে ব্যাংকগুলোর বাড়তি আয় বিস্ময় তৈরি করেছে। প্রিমিয়ারের মতো ৭৫ শতাংশ নয়, এর চেয়ে বেশি হারে আয় বাড়াতে পেরেছে তারা। দ্বিগুণ, তিনগুণ, এমনকি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চার গুণ আয় করার ঘটনাও ঘটেছে।

কোন ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় কত

এর আগে যেসব ব্যাংকের আয়ের হিসাব পাওয়া গেছে, তার মধ্যে কেবল একটির আয় কমেছে। আর একটি ব্যাংক লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে গত বছরের প্রায় চার গুণ আয় করেছে। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা আয় করলেও এবার তারা আয় করেছে ২৩ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক এবার অর্ধবার্ষিকীতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণের বেশি আয় করেছে।

ব্যাংকটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা আয় করেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে ২০২০ সালে একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৯ পয়সা। শতকরা হিসাবে আয় বেড়েছে ১২৬ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ১০৮ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে এই ব্যাংকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা।

সিটি ব্যাংকে আয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর এই আয় ছিল ১ টাকা।

প্রিমিয়ার ব্যাংকেরও আয় বেড়েছে ব্যাপকহারে। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৮ পয়সা আয় করেছে। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৯০ পয়সা। আয় বেড়েছে ৬৮ পয়সা বা ৭৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইস্টার্ন ব্যাংক এবার ৬ মাসে গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি আয় করেছে। অর্ধবার্ষিকীতে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

আইএফআইসি ব্যাংক চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে গত বছরের প্রায় দেড় গুণ আয় করেছে। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি ৭১ পয়সা আয় করলেও এবার তারা আয় করেছে ৯১ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৮.১২ শতাংশ।

যমুনা ব্যাংকের গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬৪ পয়সা আয় করেছে ব্যাংকটি। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। এই হিসাবে আয় বেড়েছে ৫৭ পয়সা বা ২৭.৫৩ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।

এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।

ডাচবাংলা ব্যাংক গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৫৭ পয়সা আয় করেছে। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৫ পয়সা বা ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

মহামারির বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে চমক দেখায় ব্যাংকিং খাত। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এবার বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে অনেকটাই আশাতীত। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদে দিয়েছে তারা বিনিয়োগকারীদের।

ব্যাংক খাতে সুবাতাসের মধ্যে ভালো করতে পারেনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৮২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ এই ব্যাংকটির আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ।

হতাশার বৃত্তেই আইসিবি ইসলামী ব্যাংকও। লোকসানি ব্যাংকটি এবারও তার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

এ বিভাগের আরো খবর