বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আয় আরও বাড়ল যমুনা ব্যাংকের

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ১৯:০৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক এখন পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে শেয়ার প্রতি আয়ের দিন থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে যমুনা ব্যাংক। তাদের চেয়ে বেশি আয় করতে পেরেছে কেবল ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

গত পাঁচ বছর ধরেই আকর্ষণীয় মুনাফা আর লভ্যাংশ দিয়ে আসা যমুনা ব্যাংক করোনার দ্বিতীয় বছরে আয় আরও বাড়িয়েছে।

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬৪ পয়সা আয় করেছে ব্যাংকটি। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা।

এই হিসাবে আয় বেড়েছে ৫৭ পয়সা বা ২৭.৫৩ শতাংশ।

এই আয়ের সিংহভাগ হয়েছে প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত। সে সময় শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৬৫ পয়সা।

বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই হিসাব পর্যালোচনার পর প্রকাশ করা হয়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক এখন পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে শেয়ার প্রতি আয়ের দিন থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে যমুনা ব্যাংক। তাদের চেয়ে বেশি আয় করতে পেরেছে কেবল ডাচ-বাংলা ব্যাংক, যাদের শেয়ার প্রতি আয় ৩ টাকা ৫৭ পয়সা।

করোনার প্রথম বছরে ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আয় নিয়ে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মধ্যে দ্বিতীয় বছরে আয়ের আরও প্রবৃদ্ধি রীতিমতো বিস্ময় জাগাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক অর্ধবার্ষিক হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে দেড়গুণ, দ্বিগুণ, তিন গুণ এমনকি চারগুণ প্রবৃদ্ধির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে খুব বেশি আলোচনায় না থাকলেও যমুনার শেয়ার প্রতি আয় আর লভ্যাংশ ২০১৫ সাল থেকেই বেশ আকর্ষণীয়।

২০১৫ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৫ পয়সা, ১৬ সালে ২ টাকা ৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০১৭ সালের ২২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার পরের তিন বছর যথাক্রমে শেয়ার প্রতি ২ টাকা, দেড় টাকা এবং ২০২০ সালে ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে তারা।

গত তিন বছর টাকা আয় বেড়েছে ব্যাংকটির। সবশেষ ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৩৮ পয়সা মুনাফা করেছে তারা।

কোন ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় কত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে গত বছরের প্রায় চার গুণ আয় করেছে। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা আয় করলেও এবার তারা আয় করেছে ২৩ পয়সা। তাদের আয়ে প্রবৃদ্ধি ৩৮৩ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংক এবার অর্ধবার্ষিকীতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণের বেশি আয় করেছে।

ব্যাংকটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা আয় করেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে ২০২০ সালে একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৯ পয়সা। শতকরা হিসাবে আয় বেড়েছে ১২৬ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ১০৮ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে এই ব্যাংকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা।

সিটি ব্যাংকে আয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর এই আয় ছিল ১ টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইস্টার্ন ব্যাংক এবার ৬ মাসে গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি আয় করেছে। অর্ধবার্ষিকীতে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

গত বছর চাপে থাকা আইএফআইসি ব্যাংক চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি আয় করেছে। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি ৭১ পয়সা আয় করলেও এবার তারা আয় করেছে ৯১ পয়সা।

উত্তরা ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।

এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।

শেয়ার প্রতি সবচেয়ে বেশি আয় করলেও আয়ে প্রবৃদ্ধি বেশ কম ডাচ-বাংলার। এই ব্যাংকটি বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৫৭ পয়সা আয় করেছে। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৫ পয়সা বা ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ব্যাংক খাতে সুবাতাসের মধ্যে ভালো করতে পারেনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৮২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ এই ব্যাংকটির আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ।

হতাশার বৃত্তেই আইসিবি ইসলামী ব্যাংকও। লোকসানি ব্যাংকটি এবারও তার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

এ বিভাগের আরো খবর