পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি অর্ধবার্ষিকীর আয়ের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমার তথ্য মিলেছে।
গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ১৫ পয়সা আয় করেছে বহুজাতিক কোম্পানিটি, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ পয়সা।
গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা।
মঙ্গলবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই হিসাব অনুমোদিত হয়।
গত বছর পুঁজিবাজারে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির তালিকাভুক্তি নিয়ে যে উচ্চাশা তৈরি হয়েছে, তা কোম্পানির আয়-ব্যয় ও লভ্যাংশে প্রভাব পড়ছে না।
তালিকাভুক্তির পর পর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে শেয়ার মূল্য প্রায় আট গুণ হয়ে যাওয়ার পর দামেও পতন হয়।
১০ টাকায় তালিকাভুক্তি কোম্পানিটির শেয়ার দর এক পর্যায়ে ৭৭ টাকায় উঠে যায়। তবে এখন তা ৪৪ টাকায় নেমে এসেছে। এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণ লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে রবি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় যে হতাশা ছড়ায়, তা কিছুটা পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় এপ্রিল শেষে প্রথম প্রান্তিকের হিসাব প্রকাশের দিন। সে সময় ৩ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয় পরিচালনা পর্ষদ।
এতে রবি ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উঠে এলেও বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানির প্রতি যে আগ্রহ হারিয়েছে, সেটি স্পষ্ট। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে রবি এখন থাকে না বললেই চলে। আর দামও একটি জায়গায় স্থির হয়ে আছে।