বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকে সুদিনের মধ্যেও আয় কমেছে ফার্স্ট সিকিউরিটির

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২১ ২০:২৯

এই ব্যাংকটি বরাবরই দেখা গেছে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে ভালো আয় করে। ২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে শেষ দুই প্রান্তিকে ৫১ পয়সা ও ১ টাকা ৬০ পয়সা আয় করে শেষ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে।

মহামারির দ্বিতীয় বছরে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধিতে চমক অব্যাহত থাকলেও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাংকটির অর্ধবার্ষিকী হিসাব অনুযায়ী আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ আয় কমেছে।

সোমবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৮২ পয়সা ছিল।

অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ।

প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা হয়েছে ২২ পয়সা।

অবশ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেমে জুন পর্যন্ত এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে সাড়ে ৩৭ শতাংশ। আগের বছরের এই প্রান্তিকে আয় ছিল ১৬ পয়সা।

অবশ্য এই ব্যাংকটি বরাবরই দেখা গেছে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে ভালো আয় করে। ২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে শেষ দুই প্রান্তিকে ৫১ পয়সা ও ১ টাকা ৬০ পয়সা আয় করে শেষ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে।

আগের বছর ব্যাংকের শেয়ার প্রতি ব্যাংকটির আয় ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। ওই বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা আর তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৫ পয়সা আয় করেছিল।

প্রায় সব ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে

ফার্স্ট সিকিউরিটির আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক মহামারির দ্বিতীয় বছরে অর্ধবার্ষিকীর আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে লোকসানি একটি ব্যাংক বাদে সবগুলোর আয় বেড়েছ।

প্রাইম ব্যাংক এবার অর্ধবার্ষিকীতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি আয় করেছে।

ব্যাংকটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকে মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ১০৮ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে এই ব্যাংকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা।

সিটি ব্যাংকে আয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর এই আয় ছিল ১ টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংক ব্যাংকটি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।

এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।

মহামারির বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে চমক দেখায় ব্যাংকিং খাত। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এবার বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে অনেকটাই আশাতীত। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদে দিয়েছে তারা বিনিয়োগকারীদের।

ব্যাংক খাতে সুবাতাসের মধ্যে সেই হতাশার বৃত্তেই আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

এ বিভাগের আরো খবর