বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাইম ব্যাংকের আয় বেড়ে তিন গুণ

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২১ ২০:৩৭

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল।

মহামারির দ্বিতীয় বছরে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধিতে চমক অব্যাহত রয়েছে। এবার প্রকাশ পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংকের অর্ধবার্ষিকী হিসাব, যাতে দেখা গেছে, ব্যাংকটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি আয় করেছে।

রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল।

অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় হয়েছে ৩২০ শতাংশ।

প্রথম প্রান্তিকেই ব্যাংকটি ব্যাপক আয় করেছিল। সেই তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কিছুটা কম হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা হয়েছে ৪৭ পয়সা।

অবশ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেমে জুন পর্যন্ত এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ গুণ বেশি। ওই বছর এই প্রান্তিকে আয় ছিল ৯ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংকের ছয় মাসের আয় এবার ২০১৯ ও ২০২০ সালে পুরো বছরের আয়ের চেয়ে বেশি।

২০১৯ সালে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৭ পয়সা আর ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬১ পয়সা আয় করেছিল।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় সবগুলোই মহামারির দ্বিতীয় বছরে আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি আয়ের তথ্য মিলেছে তাদের অর্ধবার্ষিকের প্রতিবেদনে।

এখন পর্যন্ত যে আটটি ব্যাংক শেয়ার প্রতি আয়ের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে সাতটিই গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে। আর একটি কোম্পানি কখনও মুনাফার মুখ দেখেনি।

শতকরা হিসেবে প্রাইম ব্যাংকের পর মুনাফায় প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়েছে মার্কেন্টাইলে। এই ব্যাংকটি গত বছরের তুলনায় ১০৮ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা।

সিটি ব্যাংকের আয়েও প্রবৃদ্ধি হয়েছে শতভাগের বেশি। অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ছিল। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংক ব্যাংকটি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।

এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।

ব্যাংকে আয় বৃদ্ধির এই চমক গত বছর করোনাকালেও দেখা গেছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সাধারণ ছুটিতে ৬৬ দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাওয়ার পর আলোচনা শুরু হয়, ব্যাংকগুলোর আয়ে ধস নামে কি না।

তবে শেষ পর্যন্ত মহামারির বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে চমক দেখায় ব্যাংকিং খাত। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এবার বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে অনেকটাই আশাতীত। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদে দিয়েছে তারা বিনিয়োগকারীদের।

ব্যাংক খাতে সুবাতাসের মধ্যে সেই হতাশার বৃত্তেই আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

এ বিভাগের আরো খবর