বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও দুই ব্যাংকের চমকপ্রদ আয়

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২১ ১৩:৫১

এনসিসি ব্যাংক চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় করেছে আড়াই গুণ আর উত্তরা ব্যাংক চার গুণের বেশি। তবে এই দু্টি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকে আয় কিছুটা কম ছিল। সব মিলিয়ে অর্ধবার্ষিকী মুনাফা এনসিসির বেড়েছে ২২ শতাংশ, উত্তরার ২৪ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরও দুটি ব্যাংকের অর্ধবার্ষিকীর হিসাবে চমকপ্রদ আয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এর একটি ব্যাংক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ, অন্য একটি ২২ শতাংশ বেশি আয় করেছে।

তবে ব্যাংক দুটি চমক দেখিয়েছে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে। এই সময়ে একটি ব্যাংক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আড়াই গুণ, একটি চার গুণেরও বেশি আয় করেছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বছরে চারবার তাদের আর্থিক হিসাব জমা দিতে হয়। তিন মাস অন্তর অন্তর এই হিসাবে সোমবার প্রকাশ পেয়েছে এনসিসি ও উত্তরা ব্যাংকের হিসাব।

ব্যাংকটি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।

তবে কেবল দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসাব তুলনা করলে চার গুণেরও বেশি আয় বাড়ার তথ্য পাওয়া যায়। এই এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৫ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।

এই ব্যাংকটি চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় কম মুনাফা করেছিল। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে আড়াই গুণ আয় করে সেটি পুষিয়ে নিয়েছে।

এই আয়ের মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত হয়েছে ৮৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৫ পয়সা।

ব্যাংকে আয় বৃদ্ধির এই চমক গত বছর করোনাকালেও দেখা গেছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সাধারণ ছুটিতে ৬৬ দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাওয়ার পর আলোচনা শুরু হয়, ব্যাংকগুলোর আয়ে ধস নামে কি না।

তবে শেষ পর্যন্ত মহামারির বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে চমক দেখায় ব্যাংকিং খাত। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এবার বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে অনেকটাই আশাতীত।

চলতি বছর পুঁজিবাজারে প্রথম প্রান্তিকের যে ঘোষণা এসেছে, সেখানেও দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যাংকের আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এর হিসাব এখনও প্রকাশ করেনি ব্যাংকগুলো। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তগুলো এই হিসাব প্রকাশ করার জন্য ৩০ দিন সময় নেবে। আর বেশ কয়েকটি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের তারিখ ঘোষণা করেছে।

এর আগে আরও তিনটি ব্যাংক তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে। সেখানেও দুটি ব্যাংক তাদের আয়ের চমক দেখিয়েছে, আর একটি ব্যাংক লোকসানে থাকলেও আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

তবে লোকসান থেকে বের হতে পারেনি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। তবে তাদের লোকসান দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমেছে খানিকটা।

চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ১৭ পয়সা লোকসান দিয়েছে, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৩ পয়সা। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

এ বিভাগের আরো খবর