চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ১২ টাকা ৮৯ পয়সা আয় করে ১২ টাকা ৫০ পয়সাই শেয়ারধারীদের দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটরটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছর অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারধারীদেরকে এই টাকা দেয়া হবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বছর শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তবে কোনো কোম্পানি চাইলে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিতে পারে। গ্রামীণ ফোন গত কয়েক বছর ধরে অর্ধবার্ষিকের আয়ের ওপরও লভ্যাংশ বিতরণ করে আসছে।
গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ইয়েন্স বেকার জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
২৩ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিন নিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট মুনাফা দাড়িয়েছে ৮৫১ কোটি টাকা।
২০২১ সালের প্রথম অর্ধবছরে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ ৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্বের ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ।
গ্রাহক প্রতি ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে বছরপ্রতি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কাভারেজে উন্নয়নে ৫১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। মোট সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪১৬টি।
গত তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটি ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। আর এর মধ্য দিয়ে জিপি’র মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ। যার মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৪৭ লাখ।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
জিপির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের উপর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার কারণে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক গ্রামীণফোনের সেবা বেছে নিয়েছেন। একই কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টারনেট ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে নিজেদের সকল টাওয়ারে ফোরজি সেবা সম্প্রসারণ করে গ্রামীণফোন।
‘পাশাপাশি অধিকৃত নতুন তরঙ্গ ব্যবহার ও নেটওয়ার্ক বিস্তারের ব্যাপারেও আমরা আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি; ধারাবাহিকভাবে নতুন নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপন করছি। এ প্রচেষ্টাই আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে এবং উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে সহায়তার ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকার পূরণের সুযোগ করে দিয়েছে।’
তিনি জানান, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৩ লাখ ফোরজি গ্রাহক বেড়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ডিজিটাল রিজার্চ বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।