‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত বিমা কোম্পানি পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ২ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এরই জের ধরে লেনদেনের দুই ঘণ্টায় দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারদরও এই সময় পর্যন্ত বেড়েছে ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে পূর্ণ সময় আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হবে। সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে শাটডাউন ঘোষণা করেছিল তা ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রমের সময় পরিবর্তন করে ৪টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। ফলে পুঁজিবাজারের লেনদেনও আগামী ১৫, ১৮,১৯ জুলাই আড়াইটা পর্যন্ত চলবে।
তবে ঈদের পর আবার শাটডাউন শুরু হলে ২৫ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত লেনদেন ১০টায় শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বুধবার জানিয়েছে।
পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সে গত ২ মে শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা বা ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তখনই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ১৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। আর সে সময় থেকেই উত্থান শুরু কোম্পানিটির শেয়ারের। বৃহস্পতিবার প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৪ টাকা ১০ পয়সায়।
কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের জন্য তাদের প্রথম প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারধারীদের ২ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। কিন্তু কোম্পানিটি ২০২০ সালের শেয়ারধারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০১২ সালে। এ সময়ে মাত্র দুবার শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিতে পেরেছে কোম্পানিটি। ২০১২ সালে ৮ শতাংশ আর ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর আর এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেনে মুনাফা ছাড়া আর কোনো বাড়তি লাভ হয়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করেছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদরও প্রথম দিন বেড়েছে ১০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানির শেয়ার পেয়েছেন ২৯ টাকা দরে। সেখান থেকে দর বেড়ে লেনদেন হচ্ছে ৩১ টাকা ৯০ পয়সায়।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে, যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করেছে।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে চলছে। এই সময়ে সূচক বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৭৪৫ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫১টির, দর কমেছে ৮৩টির। দর পাল্টায়নি ৪১টির।
এই সমেয় ডিএসইতে এগিয়ে থাকা খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, বিমা ও বস্ত্র খাতের আধিক্য ছিল সবচেয়ে বেশি। ব্যাংক খাতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে এই সময়ে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই লেনদেনের দুই ঘণ্টায় বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি টাকা।