আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
গত ১ জুলাই থেকে চলমান শাটডাউনে শুরুতে ব্যাংকে লেনদেনের সময় ছিল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। সে সময় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত।
পরের আদেশে ব্যাংকে লেনদেনের সময় আড়াইটা পর্যন্ত করার পর পুঁজিবাজারে লেনদেন চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত।
দুটি আদেশেই রোববার ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর পর পুঁজিবাজারেও গত দুটি সপ্তাহে রোববার লেনদেন হয়নি।
তবে ঈদের ছুটির আগে ব্যাংক রোববার খোলার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকে তিন কর্মদিবস বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার লেনদেন বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বিএসইসি এই তিন দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন স্বাভাবিক সময়ের মতোই বেলা আড়াইটা পর্যন্ত করার কথা জানায়।
সরকার ঈদ উপলক্ষে চলমান শাটডাউন শিথিল করেছে আট দিন। আগামী ২৩ জুলাই থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত আবার কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ওই সময়ে ব্যাংকে লেনদেন বেলা দেড়টা পর্যন্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আর এ কারণে বিএসইসি পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময় জানিয়ে দিল।
বুধবার বিএসই পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সময়ে সামাজিক দূরত্ব বাজার রাখা, মোট জনবলের ২৫ শতাংশ নিয়ে কার্যক্রম চালানো এবং বিনিয়োগকারীদের মোবাইল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেন পরিচালনায় উৎসাহিত করতে ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
লকডাউন বা শাটডাউন যা-ই হোক না কেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম চললে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে- এমন সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
পুঁজিবাজারের লেনদেনের সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেনের সম্পর্ক আছে। এ কারণে বিএসইসির বর্তমান কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, ব্যাংক চালু থাকলে বাজারে লেনদেন চলবে।
তবে ২০২০ সালের মার্চে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর আগের কমিশন পুঁজিবাজারেও লেনদেন বন্ধ রাখে। আর সেই ছুটি গিয়ে ঠেকে ৬৬ দিনে।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করলেও পুঁজিবাজারের লেনদেন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই চলেছে লেনদেন।
পরে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করলে তখন ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়সীমা বাড়ানো হয় আধা ঘণ্টা; দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত করা হয় লেনদেন।
সর্বশেষ ৬ এপ্রিল থেকে সে সময়সীমা বৃদ্ধি করে বেলা দেড়টা পর্যন্ত করা হয়। শেষে গত ৩০ মে থেকে আবারও পুরো সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে।
লকডাউন ও শাটডাউনে পুঁজিবাজারে উত্থানই দেখা গেছে। যদিও এপ্রিলে লকডাউন ঘোষণায় লেনদেন চালুর প্রজ্ঞাপন আসার আগ পর্যন্ত বাজারে ধস নামে। এবারও আনুষ্ঠানিক আদেশ আসার আগ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা গেছে।