বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানি মিনোরিতে আবার জাগবে এমারেল্ডের স্পন্দন

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ২০:৫৪

২০১৬ সালের ২৭ জুন বন্ধ হয়ে যাওয়া এমারেল্ড অয়েল কোম্পানিতে জাপানি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দুই বছর আগেই কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার কিনেছে তারা। আগে থেকেই বাংলাদেশে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানটি এখানে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের এমারেল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনায় জাপানি একটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

জাপানের মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৯ সালে কোম্পানিটির ৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল। প্রায় পাঁচ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটিকে তাদের মাধ্যমেই আবার চালু করার স্বপ্ন দেখছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

তবে কোম্পানিটির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ সুদে আসলে বেড়ে ১০০ কোটি টাকার মতো হয়ে গেছে। এখন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে সুদ মওকুফের চেষ্টা চলছে। সেটি হয়ে গেলেই কোম্পানিটিকে উৎপাদনে আনার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম খুবই আশাবাদী কোম্পানিটিকে নিয়ে। তারা যেসব বোর্ড পুনর্গঠন করেছিলেন, তার মধ্যে রিং সাইনও আলহাজ্ব টেক্সটাইল এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে।

শিবলী রুবাইয়াত নিউজবাংলাকে সেই বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘রিং সাইন প্রোডাকশনের চলে আসছে। এমারেল্ড অয়েলও প্রোডাকশনে চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বন্ধ ও মালিক লাপাত্তা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির বোর্ড পুনর্গঠন করে বিএসইসি চেষ্টা করছে সেগুলোকে চালু করার।

এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৩ মার্চ সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হককে চেয়ারম্যান করে নতুন বোর্ড করা হয়। পর্ষদের অন্যান্য স্বাধীন পরিচালকরা হচ্ছেন বিআইবিএমের প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম সারওয়ার, সজিব হোসেইন ও সন্তোষ কুমার দেব।

কোম্পানি চালুর বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে গোলাম সারওয়ার মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে বিএসইসির একজন নির্বাহী পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাপানি কোম্পানিটি এরই মধ্যে ৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। আরও ২৫ শতাংশ নেয়ার চেষ্টায় আছে তারা।’

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে ১০ টাকা করে অভিহিত মূল্যে দুই কোটি শেয়ার বিক্রি করে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে পুঁজিবাজার থেকে।

দুই বছর পর রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার কারণে ২০১৬ সালের ২৭ জুন থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এমারেল্ড অয়েলের।

শেরপুরে কোম্পানিটির কারখানা রয়েছে। তারা স্পন্দন নামে ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদন করত। দেশের বাজারে এই কোম্পানিটি বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে মালিকদের নাম আসার পর তারা কারখানা বন্ধ রেখে উধাও হয়ে যান।

কোম্পানিটির ৩০ শতাংশ শেয়ার ছিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা পুঁজি হারানোর অনিশ্চয়তায় পড়ে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমারেল্ড অয়েল কোম্পানি চালু করার বিষয়ে মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি জাপানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আগ্রহী। দেখা যাক, কীভাবে কী করা যায়।’

মিনোরি বাংলাদেশ কী বলছে

মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার। তিনি জানান, ২০১৯ সালে তারা কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার কিনেছিলেন। বোর্ড পুনর্গঠনের পর বিএসইসির সঙ্গে আলোচনায় হয় তাদের। তারা ৫০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করতে চান।

বন্ধ কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগ্রহের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নতুন করে একটি কোম্পানি রিফর্ম করা খুবই জটিল। এছাড়া সেটিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসাও দীর্ঘ সময়ের বিষয়। এজন্য আমরা এই কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ আগ্রহী হয়েছি।’

উৎপাদন শুরুর প্রক্রিয়ায় আসতে কত সময় লাগতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দুটি ব্যাংক ও দুটি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোম্পানিটির প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ আছে। এখন নতুন যে বোর্ড আছে, তারা যদি ঋণের বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করে বা এটি কীভাবে মওকুফ হবে সেটির বিষয়ে আন্তরিক হয়, তাহলে কোম্পানিটি চালাতে আমাদের সহজ হবে।’

এমারেল্ড অয়েলকে আবার চালু করতে কী পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটির দুটি ইউনিট আছে। এগুলোর জন্য প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে আমরা হিসাব করেছি।’

বাংলাদেশে এই কোম্পানিটির বিনিয়োগ আছে আগে থেকেই। সাতক্ষীরায় চিংড়ি ও সাদা মাছ নিয়ে তাদের ব্যবসা আছে, যাতে অর্থ লগ্নি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

আশরাফ হোসেন জানান, সাতক্ষীরায় প্রায় দুই হাজার হেক্টরের চিংড়ি ঘের আছে তাদের।

এ বিভাগের আরো খবর