অর্থবছর শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পনিগুলোর। এর মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে। আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আসতে থাকবে এ খাতের কোম্পানিগুলোর চূড়ান্ত আর্থিক প্রতিবেদন; পাশাপাশি লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত।
এমন অবস্থায় সোমবার বস্ত্র খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী ছিল সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের শেয়ারের দরও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
গত বছরের জুলাই থেকে এক দফা আর ৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে আরেক দফা উত্থানে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারগুলো দৌড়াতে থাকে পাগলা ঘোড়ার মতো। যাচাই-বাছাই ছাড়াই দাম বাড়তে থাকে।
গত এক বছরে বিমা খাতের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬ গুণ, কোনোটির ৭ গুণ, কোনোটির আবার ১০ গুণ হয়েছে। অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে বারবার আলোচনা হচ্ছিল।
অন্যদিকে বাজেটে অর্থমন্ত্রী করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করার পর থেকে বস্ত্র খাতে আগ্রহ দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আবারও গত বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে। এই শাটডাউনের মধ্যে সোমবার প্রথম লেনদেন শুরু হয় পুঁজিবাজারে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত বুধবার দেয়া এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিনিয়োগকারীদের মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্রোকারেজ হাউসে যেতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সোমবার লেনদেনে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের কার্যক্রম। বেড়েছে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শাটডাউন নিয়ে যে আতঙ্ক ছিল, সেটি নেই বললেই চলে। যদিও শাটডাউনের আগে সূচকের বড় পতন হয়েছিল।
চলমান শাটডাউনে লেনদেন সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাংকের কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। এর আগের গত ৫ এপ্রিল লকডাউনে ব্যাংকের সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিয়ে আনা হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত বৃহস্পতিবার থেকে শাটডাউনের পর সোমবার লেনদেনেও লেনদেন সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে।
সোমবার থেকে বুধবার পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে দুপুর একটা পর্যন্ত। আগের স্বাভাবিক লেনদেন হতো বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। বিপরীত অবস্থায় ব্যাংকের লেনদেন চলবে দেড়টা পর্যন্ত।
সোমবার বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫৯ কোটি টাকা। এ খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র একটি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বাকি ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে তাদের শেয়ারধারীদেরর সর্বশেষ অর্থবছরের লভ্যাংশ ঘোষণা শেষ করেছে। ফলে লভ্যাংশ প্রাপ্তির বিপরীতে শেয়ার লেনদেন মুনাফার প্রত্যাশায় সোমবারও এ খাতের শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে আটটি ব্যাংকের শেয়ারদর কমেছে। পাঁচটির দর পাল্টায়নি। বাকি ১৮টি ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে। সোমবার এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের শেয়ার। ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১০টির। দর পাল্টায়নি দুটির। বাকি ৩৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
আগ্রহে উড়ছে বস্ত্র
শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে ছিল বস্ত্র খাতের জাহিন স্পিনিং, তাল্লু স্পিনিং লিমিটেডের। এদিন কোম্পানি দুটির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।
জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার দর ৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা। আর তাল্লু স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া, সাড়ে ৯ শতাংশ পর্যন্ত দর বৃদ্ধি পাওয়া ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টি ছিল বস্ত্র খাতের।
এমএল ডাইং লিমিটেডের শেয়ার দর ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা।
ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার দর ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
প্যাসিফিক ডেনিম লিমিটেডের শেয়ার দর ১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৫ শতাংশ। শেয়ার দর ১২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা।
ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭০ শতাংশ। শেয়ার দর ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল ইভেন্স টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং মিলস, আরএন স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, মতিন স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড।
ব্যাংকের চিত্র
শাটডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজারের প্রথম লেনদেনে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। সোমবার লেনদেন সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ব্যাংক খাতের আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৭.৩১ শতাংশ। শেয়ার দর ৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা।
ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৪৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫২ টাকা ৭০ পয়সা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.১৭ শতাংশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.১৬ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৭৪ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৫৮ শতাংশ। শেয়ার দর ১১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা।
সিটি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.২৭ শতাংশ। এ ছাড়া, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি।
প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৪৩ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৮৯ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ০১ শতাংশ। পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
পড়তি সময় বিমার
৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর থেকে কেবল বিমা খাতে ভর করেই এগিয়েছে পুঁজিবাজার। শেয়ারের দাম দেড় থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে এক মাসে।
সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
শতকরা হিসাবে ৬.৩১ শতাংশ শেয়ার দর হারিয়ে সর্বোচ্চ দর পতন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয়স্থানে ছিল অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে কম হয়েছে ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৪৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।
সোমবার দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষ ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে ২২টি ছিল বিমা খাতের।
এ ছাড়া, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.০৫ শতাংশ। কর্নফুলী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৪.৭১ শতাংশ। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.১৬ শতাংশ। প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.১৫ শতাংশ। ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.১৪ শতাংশ।
অন্যান্য খাতে যে প্রবণতা
লকডাউনের পর থেকে প্রথমে বিমা, পরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এরপর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর শেষে বস্ত্র খাতে উত্থানের পরও আরও বেশ কিছু খাত ছিল ঘুমিয়েই।
প্রকৌশলের কোম্পানিগুলোর প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা গেল সোমবার। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির। এদিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল ইয়াকিন পলিমার, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৪৪ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির। এই খাতে শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এ্যামারেল্ড অয়েল লিমিটেডের। শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে এই কোম্পানির দর।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে দশটির। সবচেয়ে বেশি ছয় টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে জেনেক্স ইনফ্লোয়েন্সের দর।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। কমেছে দশটির। আর পাল্টায়নি একদিন দর।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির। কমেছে দশটির। আর পাল্টায়নি বাকি তিনটির দর।
এক দিনে বাড়ল সব ফান্ডের দর
৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে একটির লেনদেন হচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরেই। বাকি ৩৬টি ফান্ডের সব কটির দাম এক দিনে বাড়ল আবার।
এই ফান্ডগুলোর মধ্যে ৩০টির অর্থবছর শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এগুলো হিসাবনিকাশ শেষ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।
পুঁজিবাজারের সামগ্রিক চিত্রের মতোই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অবস্থা। গত এক দশক ধরে সামগ্রিক যে হতাশা, তা ছিল এই খাতেও। তবে চলতি বছর ফান্ডগুলো ব্যাপক মুনাফা করেছে বলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে মার্চের পর জানানো হয়েছে। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। আর এর সুফল অবশ্যই পাবে ফান্ডগুলো।
এ কারণে এবার এই খাতে মুনাফায় চমকের আশাও করা হচ্ছে। আর গত কয়েক দিন ধরেই ফান্ডের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির প্রমাণ মিলছে। এক দিনে সব ফান্ডের দাম বাড়ার ঘটনা আগেও দেখেছে পুঁজিবাজার।
এই দাম বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি নয়। বেশির ভাগ ফান্ডের দামই বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ পয়সা। তবে বেশির ভাগ ফান্ডই অভিহিত মূল্যের অনেক নিচে থাকায় ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা।
গত ৪ এপ্রিল থেকে বহু ফান্ডের দাম ৫০ শতাংশের মতো বেড়েছে।
তিন বছর পর ৬ হাজার ২০০ সূচকে
সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্টে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সূচক উঠেছিল ৬ হাজার ২১৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৪০ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৫ টির, কমেছে ৭১টির। পাল্টায়নি ১৮টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি টাকা।