বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুলবুলের কমিটিকে ‘অবৈধ’ বলে বিদ্রোহের ডাক তামিমদের

  • ক্রীড়া ডেস্ক   
  • ৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৫

বিসিবি নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। তবে নাটকীয়তা শেষ হয়নি এখনও। এবার তামিম ইকবালসহ নির্বাচন বয়কট করা ক্লাব সংগঠকরা নতুন এক অধ্যায় যোগ করলেন তাতে। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কমিটিকে অবৈধ তকমা দিয়ে তাদের অধীনে থাকা বিদ্রোহী ৪৮টি ক্লাব দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরে গেছে।

বিসিবি নির্বাচনকে ‘সমঝোতা’ এবং ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্বাচন পরবর্তী ক্লাবগুলোর প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার মতে, যা হয়েছে তা কোনো নির্বাচনই ছিল না এবং একটি ‘অলিখিত সমঝোতা’র সঙ্গেই তিনি একমত হতে পারেননি বলেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন।

বিসিবি নির্বাচনের পর দেশে ফিরেই মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল। কিছু অলিখিত নিয়ম থাকে। আমি ওসব অলিখিত নিয়ম ভাঙতে চেয়েছি। সমঝোতায় একমত ছিলাম না বলেই তো বের হয়ে এসেছি।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলাম, দুর্ভাগ্যবশত যেটা হয়নি।’

নির্বাচনের দিনে ই-ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তামিম। তিনি নিজের ভোট দেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘খুবই হাস্যকর জিনিস দেখলাম। ৪২টির মতো ভোট পড়েছে, যার ৩৪টি ই-ভোট। অথচ এই ৩৪জন ভোটারই সেদিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও ই-ভোট দিয়েছেন। আপনি যদি সেন্টারে সারাদিন থাকবেনই, তাহলে ই-ভোটিংয়ের দরকার কী?’

নির্বাচনে দাঁড়ালে নিজের জয় নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হয়, ১৫টি ক্লাব (যাদের ভোটাধিকার বাতিল হয়েছিল) না থাকলেও আমাকে কেউ ভোট দিত না? আমি দাঁড়ালে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমি জিতব।’

তামিম আরও বলেন, ‘আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোনো টিম আছে, বিপক্ষে কোনো টিম আছে। তারপরও আমি সহজেই পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’

নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে গত শনিবার ক্লাব নির্বাচন পেছানোসহ ৩টি শর্ত জানিয়েছিলেন সংগঠকরা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও স্মারকলিপি গিয়েছিল তাদের পক্ষ থেকে। দাবি উঠেছিল– বিসিবির বর্তমান (বিগত) নির্বাহী পর্ষদের সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিল, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির কাছে দায়িত্ব দেওয়া ও পুনঃনির্ধারিত সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ করা।

তবে তাদের এই হুমকি পাত্তা না দিয়ে গেল ৬ অক্টোবর নির্বাচন হয়। সেখানে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আমিনুল। তারই প্রতিবাদ হিসেবে আজ ঘরোয়া ক্রিকেটের বয়কটের ডাক দিয়েছেন সংগঠকরা। বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা একই কথা বলতে বলতে ক্লান্ত। আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে ৬ তারিখের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে। এই বয়সে আমরা বহু সরকার দেখেছি, বিতর্কিত নির্বাচন দেখেছি, রাতের ভোট এবং দিনে কারচুপি দেখেছি। সব কিছুকে ছাপিয়ে সবার সামনেই এবারের (বিসিবি নির্বাচনে) ভোট হলো। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাদের কথা যেহেতু তাদের কানে পৌঁছায়নি, সেজন্য আমরা আসন্ন সব প্রতিযোগিতা বর্জন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে ক্রিকেট সৌন্দর্য হারিয়েছে। আপনারা যদি এভাবে চলতে চান আমরা ক্রিকেট খেলব না। একই বিষয় জেলা ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও। এখানে জেলা প্রতিনিধি আছেন রেদওয়ান ভাই। আমরা জেলা পর্যায় থেকেও ক্রিকেট বর্জন করব এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন কাউকে যদি হুমকি দেওয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয় তবুও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি।’

এদিকে নির্বাচনের আগে লিগ বর্জনের হুমকি দিয়ে রেখেছিল নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ক্লাবগুলোর একটি পক্ষ। এবার তারা জেলা–বিভাগেও ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর