গেল মৌসুমে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করলেও কাতালানরা জয় করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। নতুন মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের শ্রেষ্ঠ মুকুট পড়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ইয়ামাল-পেদ্রি-রাফিনিয়ারা। দুর্দান্ত শুরু করে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলেও বসেছিলেন হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। এক ম্যাচ পরই হারাতে হলো শীষস্থান।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে পিএসজির কাছে হারের পর সবশেষ গত রোববার রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে কাতালানরা। ম্যাচে ৪-১ গোলে হারে টেবিলে দুইয়ে নেমে আসে কাতালানরা। লেভানন্দোভস্কির পোনাল্টি মিস এবং স্বাগতিকদের হাই-লাইন ডিফেন্সের কাছে পরাস্ত হয় ফ্লিক বাহিনী।
অন্যদিকে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আবেগে ভেসেছে এস্তাদিও র্যামন সানচেজ-পিজুয়ানের পুরো গ্যালারি। ২০১৫ সালের পর লা লিগায় বার্সার বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছে সেভিয়া। এছাড়াই কাতালানদের সেভিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সবচেয়ে বড়ও জয়ও এটি। অন্যদিকে গত রোববার রাতে হারের মধ্যে দিয়ে লা লিগায় ১৯ ম্যাচ পর হারের স্বাদ পেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এমন হাতাশাজনক দিনেও রেকর্ড গড়েছে বার্সা। কাতালান ক্লাব সবশেষ প্রতিযোগিতাপূর্ণ ৪৫ ম্যাচে টানা গোল করার কৃর্তি গড়েছে। ৪৫ ম্যাচে ১২৭ বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ইয়ামাল-রাফিনিয়া। এর আগে ১৯৪২ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে একই সময় ১৩৯টি গোল করেছিল বার্সা।
উড়তে থাকা বার্সার হটাৎ এমন ছন্দপতন কেন, এমন সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ইনজুরি এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। ইয়ামাল, রাফিনিয়া, গাভি, গার্সিয়ার মতো খেলোয়াড়রা আছেন ইনজুরিতে। এছাড়া বার্সার সমর্থকদের মতোই খেলোয়াড়রাও বর্তমানে নিজেদের বিশ্বের সেরা ক্লাব মনে করেন। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ইনজুরি কাতালানদের বাস্তবতা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
তবে জার্মান মাস্টারমাইন্ড হ্যান্সি ফ্লিক মনে করে, এমন কষ্টদায়ক ম্যাচ মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। তিনি বলেন, ‘আজকের এই কষ্ট আমাদের বাকি মৌসুমের জন্য অনুপ্রেরণা দেবে। আমরা একটি অবিশ্বাস্য ক্লাবের হয়ে খেলি এবং সমর্থকদের কষ্ট বুঝি। কিন্তু আমাদের সামনে তাকাতে হবে এবং প্রতিটি শিরোপার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
এছাড়া সেভিলার বিপক্ষে হারের কারণ নিয়ে বার্সা বস বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা সমাধান খুঁজে পাইনি। দ্বিতীয়ার্ধ আমরা ভালো খেলেছি; কিন্তু সেভিয়া সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। এই হারের পর আমাদের একসঙ্গে থাকা জরুরি। আন্তর্জাতিক বিরতির পর আমরা আবারও প্রতিটি শিরোপার জন্য লড়াই করব।’ আন্তর্জাতিক বিরতি কাটিয়ে ১৮ অক্টোবর জিরোনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরছে কাতালানরা।