একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আর্লিং ব্রট হালান্দ। গত রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ব্রেনফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন এ নরওয়েজিয়ান তারকাই। এ ম্যাচে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে কম ৩৪৯ ম্যাচে ২৫০তম জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লীগে এক ক্লাবের হয়ে ২৫০ জয় তুলে নেওয়া ষোড়শ কোচ গার্দিওলা।
জিটেক স্টেডিয়ামে এ দিনের জয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৭ ম্যাচে অপরাজিত রইল সিটি। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ৭ ম্যাচে ৯ গোল করলেন হালান্দ। ৬টির বেশি করতে পারেননি আর কেউ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫ বছর বয়সি হালান্দের গোলের পরিসংখ্যান আরও চমৎকার। স্রেফ ১১ ম্যাচেই ১৮ বার জাল খুঁজে নিয়েছেন এ নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড। এর মধ্যে আবার টানা ৯ ম্যাচেই গোল করেছেন হালান্দ, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি ম্যাচে টানা গোলের রেকর্ড।
ম্যাচশেষে তাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হালান্দ বলেন, ‘এখনের মতো আমার এত ভালো আগে কখনো লাগেনি। প্রস্তুতিই মূল বিষয়। শারীরিকভাবে তো হতেই হয়, মানসিকভাবেও তৈরি হওয়া জরুরি।’ গত বছর বাবা হয়েছেন হালান্দ। এত গোলের পেছনে নিজের সন্তানেরও ভূমিকা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন বাচ্চা থাকায় আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো সময় কাটাচ্ছি। এখন বাড়ি ফিরে অনেক রিল্যাক্স থাকি। তাই আমার ছেলেকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ জিটেক স্টেডিয়ামে ৭০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে সিটি। গোলের দিকে ১০টি শটের মধ্যে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে সফরকারীরা। আর ৬টির মধ্যে ১টি শটই লক্ষ্যে থাকে স্বাগতিকদের। এ দিনের ম্যাচে নামার আগে প্রিমিয়ার লীগে শুধু দুটি মাঠেই গোল করতে পারেননি হালান্দ, একটি লিভারপুলের অ্যানফিল্ডে ও আরেকটি এই জিটেক স্টেডিয়ামে। এ দিন নবম মিনিটে সেই আক্ষেপও কমিয়ে ফেলেন হালান্দ। ইওসো গাভার্দিওলের লম্বা পাস দখলে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জালে বল জড়ান তিনি।
বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগে ২৩টি মাঠের মধ্যে ২২টিতেই গোল করলেন হালান্দ, সাফল্যের হার শতকরা ৯৬। এটি প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। শেষ পর্যন্ত এ গোলেই জয় নিশ্চিত হয় সিটিজেনদের। অন্যদিকে দ্রুততম ২৫০তম জয় তুলে নেওয়ায় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের (৪০৪) রেকর্ড ভেঙে দেন গার্দিওলা।
৭ মাচে ৪ জয়, ২ হার ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে উঠেছে সিটি। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। গানারদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে টটেনহ্যাম হটস্পার এবং বোর্নমাউথ।