এদিনের জয়ে ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ওঠে এসেছে বার্সা। সমপরিমাণ ম্যাচে ১ পয়েন্ট কমে দুয়ে রিয়াল। নতুন মৌসুমে কাতালানরা ড্র করেছে এক ম্যাচে, আর অল হোয়াইটদের হার ওই শেষ ম্যাচেই। ঘরের মাঠ এস্তাদি অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে আধিপত্য বিস্তার করে ফ্লিকের ছেলেরাই। পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা বার্সা গোলের দিকে ২২টি শটের মধ্যে লক্ষ্যেই রাখে ১২টি। আর সোসিয়েদাদের ৭টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে স্রেফ ২টি শটই। প্রথম থেকেই দাপুটে পারফরম্যান্সে সফরকারীদের চেপে ধরে বার্সা। তবে ৩১তম মিনিটে এক আচমকা গোলে লিড নেয় সোসিয়েদাদ।
ডি বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের ক্রস পেয়ে দারুণ এক ট্যাপইনে বল জালে জড়ান রিয়ালেরই সাবেক আলভারো ওদ্রিওজোলা। কিছুক্ষণ পর আত্মঘাতী গোল করতে যাচ্ছিল সোসিয়েদাদ। সে যাত্রায় দলকে বাঁচান গোলকিপার অ্যালেক্স রোমিরো। ফিরতি বলে সুযোগ পায় বার্সা, তবে পেদ্রির নেওয়া শটটি রক্ষণে প্রতিহত হয়ে ফিরে যায়। বিরতির বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে সমতা টানে স্বাগতিকরা। মার্কাস রাশফোর্ডের কর্নার থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন জুল কুন্দে।
বিরতির পর মাঠে ফিরে ৫৮তম মিনিটে রুনি বার্দগিকে তুলে ইয়ামালকে নামান ফ্লিক। মাঠে আসার স্রেফ এক মিনিটের মধ্যে প্রতিদানও দেন ১৮ বছর বয়সি এ স্প্যানিশ তারকা। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ইয়ামালের বাড়ানো ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। ৭৪তম মিনিটে নিজেও একবার গোল করেন ইয়ামাল। তবে সামান্য ব্যবধানের অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সে গোল। ম্যাচের শেষ দিকে দুটি ভালো সুযোগ খোয়ায় দুদলই। প্রথম আক্রমণে সোসিয়েদাদের হয়ে তাকেফুসো কুবোর শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। আবার প্রতি-আক্রমণে লেভার শটও বাধা পায় পোস্টে। শেষপর্যন্ত জয় নিয়েই ম্যাচ শেষ করে বার্সা।
চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি ইয়ামাল। মাঠে ফিরে এসে রাখলেন জয়সূচক গোলে অবদান। প্রিয় শিষ্যকে ফিরে পেয়ে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেন, ‘তার ফিরে আসা সত্যিই আনন্দের। লামিন কতটা প্রতিভাবান, তা সকলেই দেখতে পেরেছেন।’ পুরো দলের প্রশংসা করে বার্সা বস আরও বলেন, ‘দলের সবাই অসাধারণ কাজ করেছে। শেষ ম্যাচ থেকে মাত্র ৬৮ ঘণ্টা বিশ্রাম পেয়েছি, তবুও সবাই সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছে। এটি সত্যিই অভাবনীয়।’