বাংলাদেশ ৫-০ শ্রীলঙ্কা শিরোপা ধরে রাখতে যত বেশি সম্ভব গোল চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই শনিবার (১৯ জুলাই) সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ২ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ গড়ে গোলসংখ্যা বাড়ানো গেছে আরও ৩টি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিতেছে ৫-০ গোলে। জোড়া গোল করেছেন পূজা দাস।
প্রথম দেখায় এই শ্রীলঙ্কাকেই ৯-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লঙ্কান মেয়েরা অনেকটাই সংগঠিত ও প্রতিরোধ গড়ার মতো ফুটবল খেলেছে। বিশেষ করে রক্ষণভাগে তারা বাংলাদেশকে আগের ম্যাচের মতো সহজে জায়গা দেয়নি। যতটুকু দিয়েছে, বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছেন বল বাইরে মেরে।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন কানন রানী বাহাদুর। ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়ার সুযোগ আসে ৩৮ মিনিটে, তবে সুরমা জান্নাতের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এই অর্ধের শেষ দিকে রাইট ব্যাক পূজা দাস দ্বিতীয় গোলটি করেন। বক্সের ওপর থেকে তার লক্ষ্যভেদ। তৃতীয় গোলটাও করেছেন পূজা। এটি প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে। ৮৬ মিনিটে তৃষ্ণা রানী করেন চতুর্থ গোল। যোগ করা সময়ে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের পেনাল্টি গোলে হয়েছে ৫-০। ম্যাচে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার একাদশে আনেন ৫টি পরিবর্তন। মূল একাদশে ছিলেন না আফঈদা, স্বপ্না রানী, উমেহলা ও মুনকি আক্তারের মতো নিয়মিত মুখ। পরিবর্তিত একাদশে প্রথমবারের মতো গোলপোস্টের নিচে সুযোগ পান ফেরদৌসী আক্তার। এছাড়া রুপা আক্তার, পূজা দাস, নাদিয়া আক্তার ও কানন রানীকেও একাদশে রাখা হয়। সুরমা জান্নাত অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরে নেতৃত্ব দেন প্রথমার্ধে।
প্রথমার্ধে মাত্র দুটি গোল আসায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠে নামানো হয় আফঈদা, স্বপ্না রানী, উমেহলা ও মুনকিকে। তবুও গোলসংখ্যা সেভাবে বাড়েনি।
আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। সেই ম্যাচে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে স্বাগতিকরা। তবে যদি হেরে যায়, তাহলে হেড টু হেড বা মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাব আসবে বিবেচনায়। সেখানেও সমতা থাকলে দেখা হবে গোল পার্থক্যের হিসাব। প্রতিদ্বন্দ্বী নেপাল গোল পার্থক্যে বেশ এগিয়ে। ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছে ৩০-এ। ৪টি গোল খাওয়া দলটির গোল পার্থক্য +২৬।
আজকের শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ছিল নেপালের চেয়ে ১১ গোল পিছিয়ে। সেই ব্যবধান কমাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছিল দল। বাংলাদেশের গোল পার্থক্য এখন +২০। অর্থাৎ ব্যবধানটা কমে এসেছে ৬-এ।