দু’পাশে জার্সি গায়ে উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণকারী খুলনা বিভাগের লাল ও সবুজ দলের খেলোয়াড়রা। মাঝে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল ইসলাম।
রোববার বেলা পৌনে ১১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী পর্বে দেখা যায় এমন আনন্দঘন মুহূর্ত।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘নাইস টু বি ব্যাক। অনেক অনেক দিন পর খুলনায় এসেছি। খুলনার অনেক ইতিহাস, অনেক স্মৃতি। খুলনাকে ক্রিকেটের আঁতুরঘর বললেও ভুল হবে না। খুলনা অনেক জাতীয় ক্রিকেটারের জন্ম দিয়েছে।
‘আজকের এই টুর্নামেন্টের আয়োজনে আমি খুবই খুশি। এখানে স্পোর্টস প্রমোট করা হবে। আমরা যারা খেলোয়াড়, আমরা সব সময় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করবো কীভাবে স্পোর্টসকে সঠিকভাবে প্রমোট করা যায়।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক সাফজয়ী ফুটবলার মো. আমিনুল হক বলেন, ‘শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনন্য একটি আয়োজন। যত বেশি টুর্নামেন্ট আয়োজন হবে, তত বেশি ভালো খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে। প্রতিবছর এ টুর্নামেন্টের আয়োজন হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আমরা এ আয়োজনকে ছড়িয়ে দিতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল।
উদ্বোধনী মঞ্চে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু ও সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিনসহ নেতৃবৃন্দ।
বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
এ সময় অতিথিদের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকার আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে শহিদ হামিদ শেখের পিতা তেরখাদার পানতিতা গ্রামের জাফর শেখ।
টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দু’টি করে দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দল।
বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে হলেও ১৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় মূল পর্ব শুরু হবে।
১৯ জানুয়ারি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির সহযোগিতায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘বিগত সময়ে ক্ষমতাসীনরা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন চায়নি। নিজেদের উন্নয়ন ও লুটপাটে ব্যস্ত ছিল তারা। এক সময়ে খুলনা থেকে সর্বাধিক খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে উঠে এলেও এখানে খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। সব ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ করায় ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’
দেশ সংস্কারের পাশাপাশি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘খুলনার ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণচাঞ্চল্য প্রকাশ পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের সাবেক ও দেশসেরা ক্রিকেটারদের সম্মিলন দেখতে পেয়ে খুলনাবাসী ধন্য।’