বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাইগারদের লড়াকু পুঁজি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৯ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:৩৫

শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টপ অর্ডারের অবদানের পর রোববারও খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। তবে অধিনায়ক শান্তর ৭৬ ও শেষের দিকে জাকের আলী ও নাসুম আহমেদের কল্যাণে উইকেটের ধস থামিয়ে লড়াই করার মতো রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।

টপ অর্ডারের অবদানের পর আজ রোববারও খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। তবে শেষের দিকে জাকের আলী ও নাসুম আহমেদের কল্যাণে উইকেটের ধস থামিয়ে লড়াই করার মতো রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।

সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তারই ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে টাইগাররা।

টপ অর্ডারের ব্যাটাররা এদিন অল্পবিস্তর রান করে একে একে বিদায় নিতে থাকলেও ওয়ান ডাউনে নেমে উইকেটের একপাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। ১১৯ বলে এই রান করার পথে ৬টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

এছাড়া ওপেনার সৌম্য সরকারের ৩৫, শেষের দিকে জাকের আলীর অপরাজিত ৩৭ এবং নাসুম আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। এছাড়া রশিদ খান ও আল্লা গজনফর নেন দুটি করে উইকেট।

এদিন ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও চতুর্থ ওভারে ফিরে যান তানজিদ তামিম। তৃতীয় ওভারে পরপর দুটি চার মেরে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আল্লা গজনফরকে ছক্কা হাঁকান তিনি। তার পরের বলেও বড় শটের চেষ্টা করে মিডঅনে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন তামিম।

সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রানের ইনিংস খেলে যান এই ওপেনার।

এরপর অধিনায়ক শান্ত ক্রিজে এলে তার সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহকে মজবুত ভিত্তি এনে দেন সৌম্য সরকার। এই দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ওই একটি উইকেট হারিয়েই ৫৯ রান তুলে এগুতে থাকে বাংলাদেশ।

১৮ ওভার ৪ বলে দলীয় সংগ্রহ ৯৯-তে রেখে বিদায় নেন সৌম্য। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে লেগ বিফোর হয়ে ফেরার আগে ৪৯ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

অবশ্য রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে পারতেন সৌম্য। শান্তর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে টিভি রিপ্লেতে বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, রশিদের ডেলিভারিটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, কিন্তু রিভিউ না নেয়ায় বৃথা উইকেট বিলিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

সৌম্যর বিদায়ের পর রানের চাকা কিছুটা শ্লথ করে সতর্ক ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত ও চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের মাঝপথে ৭৫ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।

শান্ত-মিরাজের জুটি পঞ্চাশ পেরুনোর পথে ৩২ ওভার ২ বলে দলীয় সংগ্রহ দেড়শ’ ছাড়ায় বাংলাদেশের। এরপরই মেহেদীকে সাজঘরে ফেরান রশিদ।

ওই ওভারের চতুর্থ বলটি অফস্টাম্পের বাইরে পড়ে টার্ন করে ভেতরে ঢোকার সময় রুম করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালান মিরাজ। তবে বল খানিকটা নিচু হয়ে আসায় পরাস্ত হন এই অলরাউন্ডার। ৩৩ বলে ২২ রান করে দলীয় ১৫২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এর ফলে ভাঙে ৫৩ রানের জুটি।

এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ফের আরেকটি জুটি গড়ায় মনোযোগী হন শান্ত। তবে স্কোরবোর্ডে ২২ রান যোগ করতেই ভাঙে এই জুটি।

মিরাজের সঙ্গে ব্যাট চালানোর সময় থেকে রানের গতি কিছুটা পড়ে গিয়েছিল। ইনিংসের ৩৫ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাউন্ডারির মাধ্যমে রানরেট বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা শুরু করেন হৃদয় ও শান্ত। এর একপর্যায়ে ৩৯তম ওভারে খারোতের প্রথম বলে সীমান্তে ধরা পড়েন হৃদয়। ১৬ বলে একটি চারের সাহায্যে ১১ রান করে তিনি যখন ফিরছেন, তখন দলের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ১৭৪।

এরপর আরও ৯ রান বাড়িয়ে দিয়ে একই কায়দায় লং-অফে ধরা পড়েন উইকেটের এক পাশ আগলে রাখা শান্ত। ১১৯ বলে ৭৬ রান করে তিনি ফেরার দুই বল পরে ক্যাচ হয়ে যান মাহমুদুল্লাহও (৩)। ফলে পরপর দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে আফগানদের ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন খাতোরে।

শেষের দিকে নাসুম আহমেদ (২৫) ও জাকের আলীর (৩৭*) কল্যাণে ২৫২ রান তুলে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২৫২/৭ (শান্ত ৭৬, জাকের ৩৭*, সৌম্য ৩৫; খাতোরে ৩/২৮, রশিদ ২/৩২, গজনফর ২/৩৫)।

এ বিভাগের আরো খবর