নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ভারত। শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় মহাগুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে একশ’ রানও করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় আগে ব্যাটিং নিয়ে ২০ ওভারে মাত্র ৮০ রান করেছে বাংলাদেশ। জ্যোতি সর্বোচ্চ ৩২ ও স্বর্ণা আক্তার ১৮ বলে করেন ১৯ রান। ভারতের হয়ে রেনুকা সিং ও রাধা যাদব তিনটি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এক ছক্কা মেরে প্রথম ওভারেই আরেক বড় শটের চেষ্টায় ফিরে যান দিলারা আক্তার। ইশমা তানজিম দুই চারে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আলগা শটে তিনি বিলিয়ে দেন উইকেট।
আগের দুই ম্যাচে দুই ফিফটি করা মুরশিদা খাতুনও ফেরেন ৪ রান করে। লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি রুমানা আহমেদ। তার সংগ্রহ ১১ বলে ১ রান। ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় বাংলাদেশ।
পুজা ভাস্তেকারের বলে পুল শট মারতে গিয়ে রাবেয়া খান ফিরলে ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগ্রেসরা। অধিনায়ক জ্যোতি ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি রিতু মনি। দীপ্তি শর্মার বলে স্টাম্পিং হয়ে যান তিনি।
পরে স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে এগুতে থাকেন জ্যোতি৷ তবে তাদের রান তোলার গতি ছিলো শ্লথ। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫১ বলে মাত্র ৩২ রান করেন জ্যোতি।
এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল একদম যাচ্ছেতাই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই-ই করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা, হেরে যায় ৭ উইকেটে।
তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ নারী দল। থাইল্যান্ডকে হারায় ৭ উইকেটে। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না নিগার সুলতানাদের। সেই ম্যাচে ১১৪ রানের বিশাল জয়েই শেষ চারে পা রাখে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ভারত গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায়। পরের ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৭৮ রান এবং শেষ ম্যাচে নেপালকে ৮২ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে সেমিতে উঠে আসে ভারত।
বাংলাদেশ একাদশ: দিলারা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ, ইশমা তানজিম, রিতু মনি, রাবেয়া খান, স্বর্ণা আক্তার, নাহিদা আক্তার, জাহানারা আলম ও মারুফা আক্তার।
ভারতীয় একাদশ: শেফালি ভার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, উমা ছেত্রী, হারমানপ্রিত কাউর (অধিনায়ক), জেমিমাহ রদ্রিগেজ, রিচা ঘোষ, দিপ্তি শর্মা, পুজা ভ্রাস্ত্রাকার, রাধা যাদব, তানুজা কানওয়ার ও রেনুকা ঠাকুর।