এক দল তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ৫ রানে, আরেক দল ২৪ রানে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের দুই দলেরই শুরুটা ছিল নড়বড়ে। তবে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে এর পরের অংশ। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক আর জেমি ওভারটন বাদে ইংল্যান্ডের হয়ে কেউই হাল ধরতে পারেননি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল পাশে পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, টম ল্যাথাম আর মিচেল স্যান্টনারদের।
ব্রুকের ‘ওয়ান ম্যাচ শো’ ছাপিয়ে দিন শেষে তাই জিতেছে ‘মিলেমিশে’ চলা নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ২২৩ রান নিউজিল্যান্ড পেরিয়ে গেছে ৬ উইকেট হারিয়েই। ৮০ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্রাইডন কার্সের তোপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে উইল ইয়াং হন বোল্ড, পরের বলে কেইন উইলিয়ামসন ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ১৭৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে উইলিয়ামসন এই প্রথমবার প্রথম বলে আউট হয়েছেন। কিছুক্ষণ পর লুক উড রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে দিলে বিপদ বাড়ে নিউজিল্যান্ডের।
চারে নামা মিচেল এরপর চতুর্থ উইকেটে টম ল্যাথামকে নিয়ে গড়েন ৪০ রানের জুটি। কার্সের তৃতীয় শিকার হয়ে ল্যাথাম ফেরার পর মিচেল বড় জুটি গড়েন মাইকেল ব্রেসওয়েলের সঙ্গে। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৯২ রান, যাতে ব্রেসওয়েল করে যান ৫১ রান।
বিশ্বযুদ্ধে ‘মৃত্যুর’ ১৫ বছর পর টেস্ট অভিষেক আর ক্যাপ– নাটকের একজন হ্যারি লি।
এরপর মিচেল-স্যান্টারের জুটি আরও ৪৯ রান যোগ করলে জয় সহজ হয়ে যায় স্বাগতিকদের জন্য। স্যান্টনার ২৭ রান করে ফিরলেও মিচেল অপরাজিত থেকে যান ৭৮ রানে। ৩৩ রানে জীবন পাওয়া মিচেলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা।
এর আগে ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রায় পুরোটাই টেনেছেন ব্রুক। জাকারি ফকসের তোপে ৫ রানে ৩ আর ১০ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড একপর্যায়ে ৫৬ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট। সেখান থেকে শেষ চার উইকেটে ১৭৯ রান যোগ করেন ব্রুক। উডকে নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে তোলেন ৫৭ রান। ওয়ানডেতে দশম উইকেট জুটিতে যা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। এই জুটিতে উডের অবদান ৪ বলে ৫ রান।
ব্রুক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ১৩৫ রান করে। এমন ইনিংসে ম্যাচ হেরেও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে জেমি ওভারটনের কাছ থেকে। ৪৬ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। তৃতীয় সর্বোচ্চ রানটাই উডের ৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩৫.২ ওভারে ২২৩ (ব্রুক ১৩৫, ওভারটন ৪৬, উড ৫*; ফকস ৪/৪১, ডাফি ৩/৫৫)।
নিউজিল্যান্ড: ৩৬.৪ ওভারে ২২৪/৬ (মিচেল ৭৮*, ব্রেসওয়েল ৫১, স্যান্টনার ২৭; কার্স ৩/৪৫)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হ্যারি ব্রুক।