নানা সমীকরণে সেমিফাইনালের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত পারল না টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে থামিয়েও লাভ হলো না।
সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান দরকার ছিল। তবে পারেনি তারা। ১৭ ওভার ৫ বলে সব উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান করে বাংলাদেশ।
ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে সেমিফাইনালের আগেই ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়াও।
আগামী ২৭ জুন প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।
৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থেকে সেমিতে উঠল আফগানরা। ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে থাকায় বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নিতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে।
সুপার এইটে ৩ ম্যাচের সবগুলোতে হেরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই সেমি নিশ্চিত করেছে ভারত।
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে বৃষ্টি আইনে ১৯ ওভারে ১১৪ রানের সহজ টার্গেটে ৭ বল বাাত থাকতে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৯ বলে ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও, বাংলাদেশের হার রুখতে পারেননি লিটন। আফগানিস্তানের নাভিন ২৬ রানে ও রশিদ ২৩ রানে ৪টি করে উইকেট নেন।
এ ইনিংস দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার ৪ উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন রশিদ। সাকিব আটবার ও রশিদ ৯ বার ইনিংসে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন নাভিন।