৮৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেও মাত্র ২ পয়েন্টের জন্য ম্যানচেস্টার সিটির কাছে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার কষ্টে পুড়ছে আর্সেনালের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক সবাই।
অনেকেই সিটির এই জয়ের পেছনে কাতারি বিনিয়োগ, প্রিমিয়ার লিগের আইন ভঙ্গ ইত্যাদি অনেক অজুহাত দিচ্ছেন। তবে পেপ গার্দিওলার ফুটবলীয় দর্শন ও কৌশলেরই প্রশংসা করছেন বোদ্ধাদের অনেকে। খবর ইউএনবি
এ বিষয়ে গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হোসে মরিনিয়ো বেশ আগে বলেছিলেন, ম্যান সিটি যে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করছে, বিষয়টিকে আসলে সেভাবে দেখলে হবে না। তারা আসলে বিনিয়োগ করছে। আজকে যেসব তারকা ফুটবলারকে তাদের টিমে খেলতে দেখেন, তাদের আজ-কালকে কেনেনি সিটি। তারা গত ছয়-সাত বছর আগে করা বিনিয়োগের ফসল। এখন তার সুফল পাচ্ছে সিটি।
আর্সেনালকে সবশেষ প্রিমিয়ার লিগ জেতানো সাবেক কোচ আর্সেন ভেঙ্গার বলেছেন, ‘সিটির ওপর আনা ১১৫টি অভিযোগের ব্যাপারে কী হবে আমি জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, পেপ গার্দিওয়লা বিশ্বের সেরা কোচ।
‘বিশ্বের অন্য যেকোনো ম্যানেজারকে সিটির বর্তমান দলের দায়িত্ব দিন, দেখবেন তারা টানা চারটি শিরোপা জিততে পারবে না।’
তবে এসব ছাপিয়ে আর্সেনালের ‘মানসিকতা’কে দুষলেন সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। ম্যাচের পর আর্সেনালের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই মৌসুমে আর্সেনাল অসাধারণ খেলেছে। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য ছিল মানসিকতায়।’
গত ৩১ মার্চ ইতিহাদে গানারদের আতিথ্য দেয় সিটি। ওই ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। ম্যাচে সিটির ৭৩ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে আর্সেনালে পায়ে বল ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ সময়। আক্রমণ ও গোল তৈরির চেষ্টা করার পরিবর্তে সেদিন তাদের রক্ষণের দিকেই বেশি মনযোগ দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়টিকে উল্লেখ করে রদ্রি বলেন, ‘তারা যখন আমাদের মাঠে এলো, তখন আমাদের হারানোর উদ্দেশ্যে খেলেনি, ড্র করার উদ্দেশ্যেই তারা এসেছিল।’
ওই ম্যাচে ড্র করায় সম্ভাব্য ২ পয়েন্ট হারায় আর্সেনাল, সঙ্গে সিটিও ১ পয়েন্ট অর্জন করে। তাই ওই ম্যাচটির গুরুত্ব মনে করিয়ে দিলেন রদ্রি। ম্যাচটি আর্সেনাল জিততে পারলে সিটির চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতত মিকেল আর্তেতার দল।