বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিষেকেই হাসল তানজিদের ব্যাট, জিতল বাংলাদেশ

  •    
  • ৩ মে, ২০২৪ ২২:৩৩

৮ চার ও দুই ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে যাত্রা শুরু করলেন তানজিদ।

দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসের বোল্ড হয়ে ফেরার পর শ্লথ হয়ে যায় বাংলাদেশের রানের চাকা। সেই সময় এক ওভারে দুইবার জীবন পেয়ে থামতেই ভুলে গেলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত টাইগার ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। তার অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।

৮ চার ও দুই ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে যাত্রা শুরু করলেন তানজিদ।

শুরুতে ব্যাট করে ১২৪ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এদিন প্রায় দেড় বছর পর ক্রিকেট ফেরা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বোলিং প্রদর্শনী ছিল দেখার মতো।

জবাবে খেলতে নেমে ২৮ বল বাকি থাকতেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।

তানজিদের অপরাজিত ৬৬ রানের পাশাপাশি তৌহিদ হৃদয়ের ১৮ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ক্যামিও এবং অধিনায়ক শান্তর ২১ রানের ইনিংস দুটি জয় পেতে ভূমিকা রাখে।

ব্লেসিং মুজারাবানি ও লুক জঙ্গুয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন।

প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই নিজের যোগ্যতার পরিচয় দেন সাইফুদ্দিন। ছবি: ক্রিকইনফো

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে শুরুতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর তার সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে থাকেন বোলার ও ফিল্ডাররা।

চট্টগ্রামের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটার নিচে প্রথম ইনিংসে চলে জিম্বাবুয়ের উইকেটবৃষ্টি।

নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন শেখ মেহেদি হাসান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। এরপর প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ওভারেই সাফল্য পান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তার করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি।

পরের ওভারের প্রথম বলে আবারও বাংলাদেশ শিবিরে উল্লাস। জাকের আলী ও মাহমুদুল্লাহর কৃতিত্বে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তৃতীয় ব্যাটার ব্রায়ান বেনেট। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই হতভম্ব জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও। শেখ মেহেদির বলে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর ফলে ৩৬তম রানেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

স্কোরবোর্ডে দুই রান যোগ হতে না হতেই আবার বিপদ ঘটে অতিথিদের। এবার শূন্য রানে শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে দেন তাসকিন। পরের বলে রায়ান বার্লকে আউট করে হ্যাটট্রিক করার সম্ভাবনা জাগান তিনি। তবে তার সে সম্ভাবনা সত্যি না হলেও ৩৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একেবারে খাদের কিনারে চলে যায় জিম্বাবুয়ে।

পরের ওভারে তৌহিদ হৃদয়ের দারুণ ক্যাচে ফিরতে হয় লুক জঙ্গুয়েকে। ৭.৪ ওভারে ৪১ রানে সাত উইকেটের পতন হলে সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটে থিতু হন ক্লাইভ মাদান্দে। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় স্বস্তি ফেরে সফরকারীদের শিবিরে।

শেষ পর্যন্ত ওই দুই ব্যাটারের ৭৫ রানের জুটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।

ইনিংসের শেষ দিকে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মাদান্দে, মারেন ছয়টি চারের মার। আর শেষ বলে রান আউট হওয়া ওয়েলিংটন করেন ৩৪ রান; জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দুটি ছক্কাই আসে তার ব্যাট থেকে, সঙ্গে ছিল দুটি চার।

টাইগারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন ও সাইফুদ্দিন। শেখ মেহেদির ঝুলিতে যায় দুই উইকেট।

এ বিভাগের আরো খবর