বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেটিং তদন্তে উঠে এল সাকিবের বোনের নাম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৯

বাংলাদেশে প্রচলিত ‘11wicket.com.bd’ নামে একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন সাকিবের ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু। অ্যাপটির অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী ভারতীয় বাজিকর সুরুজ চোখানি ভারতে আটক রয়েছেন। জেরার মুখে জান্নাতুলের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি।

বেটিংয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবারই জড়িয়েছে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। এবার এমন এক কাণ্ডে যুক্ত হলো তার বোনের নামও।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও আজ তাক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ (11wicket.com.bd) নামে একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন সাকিবের ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু।

অ্যাপটির অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী হলেন ভারতীয় বাজিকর সুরুজ চোখানি। তার সঙ্গেই অংশীদার ছিলেন জান্নাতুল। সুরুজ চোখানি বর্তমানে ভারতে আটক রয়েছেন। সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ইডির জেরার মুখে জান্নাতুলের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইডি জানায়, গিরিশ তালরেজা এবং সুরাজ চোখানি নামে আরও দু’জনকে তারা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশে ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ অ্যাপে বিনিয়োগ করেন চোখানি, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন সাকিবের বোন।

ইডি আরও জানায়, চোখানি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে টিবরেওয়ালস শেয়ারে কয়েক শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কাঠমান্ডুতে ক্যাসিনোতেও বিনিয়োগ রয়েছে তার। দুবাইয়ে হাওয়ালা অপারেটর হরি শঙ্করের খুবই ঘনিষ্ঠ এই চোখানি।

ভারতের ছত্তিশগড় পুলিশের নথিভুক্ত এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। এক পর্যায়ে বিশাখাপত্তম পুলিশ এবং অন্যান্য রাজ্যের দায়ের করা এফআইআরগুলোও তদন্তের আওতায় আনে তারা।

ইডি দাবি করেছে, কালো টাকা পাচারে মহাদেব অ্যাপের হাত রয়েছে। বেআইনি বেটিং কারবারে এই অ্যাপ যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া ইডি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া গিরিশের লোটাস ৩৬৫ ব্যবসায় অংশীদারত্ব ছিল মহাদেব অ্যাপের একটি সহায়ক সংস্থার। রতন লাল জৈন ওরফে আমন এবং সৌরভ চন্দ্রকর নামে দুই ব্যক্তি অংশীদার ছিলেন। পুনেতে ওই সংস্থার অফিস ছিল। প্রতি মাসে ওই শাখা থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা লেনদেন করা হতো। ওই শাখায় তল্লাশির সময় এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এছাড়া হরিশঙ্কর টিবরেওয়াল বেটিং ওয়েবসাইট ‘স্কাইএক্সচেঞ্জ’-এর জন্য বেআইনি বেটিং অপারেশনে মহাদেব অনলাইন বুকার প্রচারকারীদের সঙ্গে অংশীদারত্বও করেন।

এসব সংস্থা থেকে ভারত এবং ভারতের বাইরে বেশ কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইডি।

এর আগে মামলার সঙ্গে জড়িত আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, মহাদেব অনলাইন বেটিং এবং গেমিং অ্যাপ মামলায় অর্থ পাচারের তদন্তে নিতিন তিব্রেওয়াল এবং অমিত আগরওয়াল নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইডি।

ইডি জানায়, মহাদেব অ্যাপ একটি হাই-প্রোফাইল কেলেঙ্কারি যা একটি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন গেম যেমন- পোকার, তাস গেম, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেটের ওপর এই অ্যাপে অবৈধ জুয়া খেলা হয়। এই অ্যাপ দৈনিক ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানা গেছে।

এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন ব্যবহারকারীদের নথিভুক্ত করতে, আইডি তৈরি করতে এবং বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটি অবৈধ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অর্থ পাচার করতে ব্যবহার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর