দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করেছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনা ক্লাব বিশ্বকাপে না থাকায় তার হাতে এখন অখণ্ড অবসর। আর এই অবসর সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ১৭ বছর বয়সি এই স্প্যানিশ উইঙ্গার। তবে ছুটিতেও নিজেকে আলোচনায় রাখছেন ইয়ামাল। ছুটি কাটাতে তিনি প্রথমে যান ইতালিতে। ‘আজ্জুরি’ দের দেশে ছুটি কাটানোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিও তিনি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ইয়ামাল আলোচনায় আসেন স্প্যানিশ মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিমানের ক্রু-ফাতি ভাজকেজের সঙ্গে সুইমিংপুলের পাশে ও জলাশয়ে নৌকা নিয়ে ঘোরার ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে। সে সময় ইয়ামালের সঙ্গে ১৩ বছরের বড় ফাতির প্রেম নিয়ে গুঞ্জনও শোনা গেছে বেশ। আর এবার ইয়ামাল আলোচনায় এলেন নেইমারের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে। কদিন আগেই ইয়ামাল ব্রাজিলে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে দুজনের এক সঙ্গে অবকাশযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেইমারের সঙ্গে ইয়ামালের ছুটি কাটানো নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ওগ্লোবো’ জানিয়েছে, সান্তোস তারকা নেইমার গত বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরোর মানগারাবিতা শহরে নিজের বাসভবনে বার্সেলোনা তারকা ইয়ামালকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেইমার নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইয়ামালের সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওর শুরুতে জিমে ব্যায়াম করতে দেখা যায় নেইমারকে। এরপর নেইমার যান ভলি খেলতে। নেইমারের বল অন্য প্রান্তে পাঠানোর পর দৃশ্যপটে আসেন ইয়ামাল। স্প্যানিশ তারকা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেরত পাঠান নেইমারের কাছে। কিছু সময় খেলার পর দুজনকে দেখা যায় সুইমিংপুলের ধারে। সেখানে খুনসুটিতেও মাতেন দুজন। সবশেষে নেইমারের সান্তোসের জার্সি হাতে ইয়ামাল এবং ইয়ামালের বার্সেলোনার জার্সিতে নেইমারকে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। এই ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ইয়ামাল লিখেছেন, ‘আমার ভাই।’ ইয়ামাল নিজেও স্টোরিতে নেইমারের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে নেইমারের পাশে বসে গলফ কার্ট গাড়িতে চড়তে দেখা যায় ইয়ামালকে
ইয়ামাল অবশ্য আগে থেকেই নেইমারের বড় ভক্ত। গত বছর সান্তোসে নিজের প্রথম মেয়াদে নেইমারের পরা একটি জার্সি পরতে দেখা গিয়েছিল ইয়ামালকে। তবে ভক্ত থেকে এবার যেন আরও ভালোভাবে ভাই-বন্ধুত্বে পরিণত হলেন তারা।
২০০০ থেকে ২০২৫ সালে আটকালেও সংখ্যাটা খুব বেশি কমবে না। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে স্কাই স্পোর্টসে দুই দেশ মিলিয়ে সেরা টেস্টে একাদশ বেছে নিতে তাই বেশ কষ্ট হয়েছে ইংল্যান্ডের দুই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটনের। শেষমেশ কাজটা তারা করলেও একাদশ গড়তে গিয়ে বাদ দিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও জো রুটকে।
যাদের নাম সেখানে আছে, তা দেখে খুব বেশি আপত্তি নাও-ওঠতে পারে। ২০০০ সাল থেকে হিসাব করা নাসের ও আথারটনের একাদশে দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বীরেন্দর শেবাগ। তিন ও চারে খেলবেন দুজন ভারতীয়। আন্দাজ করা খুব কঠিন কিছু নয়, রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার। পাঁচ নম্বরে সুযোগ মিলেছে কেভিন পিটারসেনের। আর ছয়ে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। স্টোকসই এই দলের অধিনায়ক। নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটনের একাদশে উইকেট কিপার ঋষভ পন্ত। এই বাঁহাতির সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ম্যাট প্রায়র। শেষ পর্যন্ত পন্তকেই বেছে নেন তারা। স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। লড়াইয়ে গ্রায়েম সোয়ানকে পেছনে ফেলেন তিনি।
পেস বিভাগে জেমস অ্যান্ডারসন ও বুমরা অবধারিত। তৃতীয় পেসার নিয়ে ছিল দোটানা। জহির খানের নামটা এসেছিল বারবার। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সুযোগ দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে। নিজেদের একাদশ নিয়ে নাসের বলেছেন, ‘এটা তো দুর্দান্ত এক দল, এমনটাই তো আশা করা যায়। দুই দেশের সেরা খেলোয়াড়দেরই রাখা হয়েছে। এ নিয়ে কেই বা হতাশ হতে পারে? কোহলি হতাশ হবে। রুটও।’
আথারটন এরপর যোগ করেন, ‘এ দলটাই প্রমাণ করে, গত ২৫ বছরে ভারত ও ইংল্যান্ড কতটা অসাধারণ মানের ক্রিকেটার তৈরি করেছে।’ আজ শুরু হবে দুই দলের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এই সিরিজে ভারতের টেস্ট দলে নেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দুজনেই এ সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাদের কেউ ভারতের টেস্ট দলে নেই, এমন কিছু দেখা গেছে ১৪ বছর আগে।
দ্য টেলিগ্রাফে লেখা কলামে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জিওফ বয়কট এই দুজনের না থাকা নিয়ে লিখেছেন। বয়কটের মতে, রোহিত নয়, ভারত বেশি মিস করবে কোহলিকে। তিনি বলেছেন, ‘রোহিত দারুণ ব্যাটসম্যান। সেরা ছন্দে থাকলে ও দারুণ স্ট্রোক খেলোয়াড়। তবে কোহলির মতো রোহিতকে ভারত ততটা মিস করবে না। কারণ, রোহিতের টেস্ট রেকর্ড ভালো হলেও অসাধারণ নয়। গত কয়েক বছরে তার ব্যাটিং কিছুটা অধারাবাহিক ছিল, যা ৩০-এর শেষ দিকে খুব একটা অবাক করার মতো নয়।’