সবুজ শ্যামল উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলায় ঘেরা সিলেট। আর এই পাহাড়-টিলা জুড়ে রয়েছে অজস্র চা-বাগান। সেই চা বাগানের মাঝ পাশে ও মাঝখান দিয়ে থাকা পাহাড়ি পথে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো রোমাঞ্চকর এমটিবি সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা।
মাউন্টেন সাইক্লিং বিশ্বের বহু দেশে বেশ জনপ্রিয়। পাহাড়ের রাস্তায় বা উঁচু টিলায় আয়োজন করা হয় এই মাউন্টেন সাইক্লিং। সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির আয়োজনে শুক্রবার সকাল ৭টায় মালনিছড়া চা বাগানে এসসিসি এমটিবি চ্যালেঞ্জ-২০২৪ পাওয়ারড বাই গ্লোবাল হেলথকেয়ার সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই বিভাগে সারা দেশের ১৩৫ জন রেসার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। নারী বিভাগে ৭ জন রেসার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুরুষদের জন্য ২৭ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ছিলো ১৭ কিলোমিটার।
পুরুষ বিভাগে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কাওসার পয়দা, দ্বিতীয় এম ডি শহীদ হোসেইন ও তৃতীয় হয়েছেন এম ডি জালাল। আর নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাবাসসুম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সানজিদা রহমান।
বিজয়ীদের ছাড়াও শীর্ষ ১০ জন রেসারকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ সুহাগ, মামুনুর রহমান, নুসরাত জাহান ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ডা. ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, ‘আমরা সব সময় তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা চাই খেলাধুলায় তরুণদের আগ্রহ বাড়ুক।
‘সাইক্লিং করলে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের খেলা। আমরা মনে করি সাইক্লিস্টরা এমন রেসের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতে পারবে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সাইক্লিংয়ে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর।’
নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাবাসসুম বলেন, ‘চা বাগানের ভেতরে এমন একটি সুন্দর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই রেসের মাধ্যমে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আর ভালো কিছু করতে পারবো।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হেলথকেয়ার সেন্টারের হেড অফ মার্কেটিং এহতেশাম চৌধুরী।
রেস পরিচালনায় ছিলেন ডা. ওরাকাতুল জান্নাত। রেসের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিলেন সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন সৈয়দ সুহাগ ও হাসান আহমেদ।