বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবারের আসরে দর্শকদের বিশেষ নজর ছিল সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের ওপর। মূলত ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকেই আলোচনায় এ দুই তারকা। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়কত্ব করছেন তামিম ইকবাল। তবে চোখের সমস্যার কারণে সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবেই রংপুর রাইডারসে খেলছেন সাকিব।
বিপিএলের প্রায় অর্ধেক ম্যাচ শেষ হয়েছে। তামিমের ফরচুন বরিশাল খেলেছে সাত ম্যাচ। সমান ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্সও। তবে চোখের চিকিৎসার জন্য ছয় ম্যাচে মাঠে নেমেছেন সাকিব। এখন পর্যন্ত কেমন ছিল সাকিব-তামিমের পারফরম্যান্স। প্রত্যাশার আলোকে কেমন করেছেন তারা।
তামিম ইকবালের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলার খুব বেশি সুযোগ নেই। ফরচুন বরিশালের হয়ে সাত ইনিংসে ব্যাট হাতে ওপেন করতে নেমেছিলেন তামিম। ১১৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৯৮ রান। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে; কিন্তু সেই ম্যাচে তামিম আউট হওয়ার পরই হেরেছিল তার দল।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে পাস মার্ক পেয়ে যাবেন তামিম ইকবাল। রান সংগ্রাহকদের তালিকায়, অবস্থান করছে চার নম্বরে। তবে হালের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কথা চিন্তা করলে স্ট্রাইকরেটে আরেকটু নজর দিতে হতো তামিম ইকবালকে। পাশাপাশি হতে হবে আরেকটু দায়িত্বশীল।
চোখের সমস্যার কারণে ব্যাট হাতে খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে নেই সাকিব আল হাসান। চার ইনিংসে করেছেন মোট ৩৮ রান। শূন্য রানে আউট হয়েছেন একবার। তবে ছন্দে ফিরছেন সাকিব। শেষ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে খেলেছেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ব্যাট হাতে না হলেও বল হাতে রংপুরকে পথ দেখাচ্ছেন সাকিব। অবস্থান করছে সেরা ১০ উইকেট শিকারির তালিকায়। ছয় ইনিংসে সাকিব ঝুলিতে ভরেছেন ৯ উইকেট। বল হাতে ছিলেন যথেষ্ট কিপ্টে। গড়ে ওভার প্রতি খরচ করেছেন ৫ দশমিক ৮৭ রান।
টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের অধিনায়ক এখন সাকিব আল হাসান। এ বছরেই অনুষ্ঠিত ক্রিকেটের ছোট এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। তাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে বিশ্বকাপের আগে, সাকিবের রানে ফেরাটা জরুরি। অন্তত দেশের ক্রিকেটের জন্য।