টাইব্রেকারেও খেলার ফল নির্ধারণ না হওয়ায় ম্যাচ কর্তৃপক্ষ টস করার সিদ্ধান্ত নেন। তাতে ভারত জেতে। তবে এই টসের বিষয়টি সাফের নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় আপত্তি তোলে বাংলাদেশ। এই পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
এরপর শুরু হয় আরেক নাটক। ম্যাচ কমিশনার টসের ফল বাতিল করলে বেঁকে বসে ভারত। তারা ফল বাতিল মানতে নারাজ। প্রতিবাদস্বরূপ তারা মাঠ ছেড়ে চলে যায় ড্রেসিংরুমে। এরপর নাটক-মহানাটকের নানা পর্ব শেষে পাঁচ ঘণ্টা পর ঘোষণা এলো- দুই দলই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন।
রাজধানীর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে বলতে গেলে নাটক আর মহানাটকই মঞ্চস্থ হয়েছে। অবশেষে নাটকের যবনিকা টানা হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
আর এই ফাইনালের মধ্য দিয়ে চরম অব্যবস্থাপনার উদাহরণ তৈরি করল সাফ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার নারী অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। এই পর্যায়ে খেলা স্বভাবতই টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারেও আবার ১১-১১ গোলের সমতা। এরপর টসে ভারত জেতার পর শিরোপা উদযাপনও করে তারা। কিন্তু সেটি মেনে নেয়নি স্বাগতিক বাংলাদেশ। সেখানেই শুরু হয় সমস্যা।
এরপর ম্যাচ কমিশনার এসে টসের ফল বাতিল করেন। সাফের নিয়ম অনুযায়ী, টাইব্রেকারে গড়ানো খেলার মীমাংসা টাইব্রেকারেই শেষ হতে হবে। সেটি না করে টসে যাওয়ার ভুল করে বসেন ম্যাচ রেফারি ও কমিশনাররা।
ফাইনালে মাত্র আট মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত৷ গ্রুপ পর্বে স্বাগতিকদের কাছে হারের প্রতিশোধ ফাইনালে প্রায় নিয়েই ফেলেছিল তারা। কিন্তু ৯৩ মিনিটে সাগরিকার গোলে সমতায় ফেরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
এরপর ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানোর পর সেখানে দুই দলের ১১ জনই গোল করেন। এরপরই টাইব্রেকার না চালিয়ে টস করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। আর এতেই বাধে বিপত্তি।
টসে জিতে শিরোপা নিশ্চিত মনে করা ভারত দল চলে যায় ড্রেসিংরুমে। অপরদিকে মাঠেই অবস্থান করে বাংলাদেশ দল। ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষ মাঠে না এলে বাংলাদেশের ওয়াকওভার পাওয়ার কথা থাকলেও সেটি তখন পর্যন্ত ঘোষণা করেনি ম্যাচ কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।