চলমান বিপিএলের শুরু থেকে প্রায় সব ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দেখা গেছে যথেষ্ট ভিড়। মিরপুর পর্ব থেকে শুরু, এবার সিলেট পর্বেও দেখা মিলল পুরো স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের। তবে ভেন্যু পরিবর্তন হলেও এখনও রূপ পরিবর্তন হয়নি এই টুর্নামেন্টের। কারণ এবারের বিপিএলের মিরপুর আসরেও বেশিরভাগ সময়ে দেখা গিয়েছিল লো স্কোরিং ম্যাচের। এবার সিলেট পর্বেও দেখা মিলেছে একই ধরনের পিচের। কারণ এই পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই বোলারদের দাপট দেখেছে ক্রিকেট ভক্তরা।
শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচের পুরোটা জুড়েই ছিল বিদেশি খেলোয়াড়দের দাপট। শুরুতেই ব্যাট করতে নামে খুলনা, যেখানে তাদের দলের বেশিরভাগ বাংলাদেশি ব্যাটারই ছিলেন ব্যর্থ। কিন্তু খুলনার ইনিংসের সব আলো কেড়ে নেন তাদের দুই বিদেশি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ এবং দাসুন শানাকা। তারা দুজনই ব্যাটিং এবং বোলিং, সব বিভাগে ছিলেন বেশ দুর্দান্ত। ব্যাট হাতে খেলেছেন আগ্রাসী ইনিংস। তারা যেন দেখিয়ে দিলেন কিভাবে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংটা করতে হয়!
নাওয়াজ খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস আর শানাকা করেছেন ৪০ রান, যার সুবাদে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং টোটাল পায় খুলনা। বল হাতেও দারুণ ছিলেন নাওয়াজ এবং শানাকা। তারা দুইজনে মিলে নিয়েছেন মোট ৬ উইকেট।
তবে এদিন রংপুরের হয়ে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন দলটির আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাই ছিলেন নিজেদের দলের হয়ে সেরা পারফর্মার। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩০ রানই যোগ করতে পেরেছিল তারা। কিন্তু এই ১৩০ রানের মধ্যেই দলটির হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইমরুল কায়েস এবং জাকের আলী। ইমরুল করেন ৩০ আর জাকের করেন ২৮।
এ ছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচটি সিলেট না জিততে পারলেও তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন দলটি বাংলাদেশি ব্যাটার জাকির হাসান। তিনি খেলেন ৪১ রানের ইনিংস।
তবে এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আলো যিনি কেড়ে নিয়েছেন, তিনি হলেন কুমিল্লার বাংলাদেশি স্পিনার আলিস আল ইসলাম। নিয়েছেন প্রতিপক্ষের চার উইকেট। তাও আবার সব বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। বলতে গেলে সিলেটের ইনিংসের ৮ ওভারের মধ্যেই ম্যাচটি একপেশে করে ফেলেন তিনি। আলিসের বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল, সুনিল নারিন কিংবা আফগান অফস্পিনার মুজিব-উর রহমান বল করছেন।