দুই বছর পরপর বসে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২৩ সালে সর্বশেষ আসর হয়েছিল হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। দুই বছর পর এবার আয়োজন ফিরছে জাপানে। ফিরছে—এই শব্দটা ব্যবহার করার কারণও আছে। কারণ, জাপানে সর্বশেষ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস হয়েছিল ২০০৭ সালে, ওসাকায়। প্রায় দুই দশক পর আবারও সেই আয়োজন ফিরছে জাপানি মাটিতে। টোকিওর আয়োজক কমিটি সব প্রস্তুতি শেষ করে এখন শুধু পর্দা ওঠার অপেক্ষায়। অলিম্পিকের মতো হইচই না হলেও বিশ্ব অ্যাথলেটিকস আসরে বিশ্বের সেরা তারকারা সবাই থাকেন। এখান থেকেই বোঝা যায়, পরের অলিম্পিকে কারা আলো কাড়তে পারেন। এবারের আসরে অংশ নিতে টোকিওতে হাজির হচ্ছেন ২০০টির মতো দেশের দুই হাজারের বেশি অ্যাথলেট। প্রতিযোগিতা হবে ৪৯টি ইভেন্টে।
১৩ সেপ্টেম্বর জমকালো উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আসর। পরদিন সকালেই নারীদের ম্যারাথন দিয়ে মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতা। টানা সাত দিন চলবে এ মহাযজ্ঞ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আকর্ষণও কম নয়। জাপানের ঐতিহ্যবাহী ঢোলের তালে পরিবেশনা করবে দেশের শীর্ষ বাদক দল কোদো। জাতীয় সংগীত গাইবেন বিখ্যাত সোপ্রানো গায়ক তোমোতাকা ওকামোতো। এরপর বক্তব্য দেবেন বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো ও টোকিওর গভর্নর। সবশেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন জাপানের যুবরাজ আকিশিনো।
সেদিনই আরও একটি চমক থাকছে। দুপুরে আকাশে ভেসে উঠবে ব্লু ইম্পালস—জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর এরোবেটিক টিম প্রায় ১০ মিনিট ধরে টোকিওর আকাশে রঙিন ধোঁয়ার রেখা এঁকে দেখাবে তাদের দক্ষতা।