শুরুতে নেমে উইকেটের অপর প্রান্তে একের পর এক সতীর্থদের যাওয়া-আস দেখলেও একপাশ আগলে রেখেছিলেন ট্র্যাভিস হেড। বিপর্যয় সামলে উইকেটে থিতু হয়ে হাফ সেঞ্চুরির পর এবার নিজের সেঞ্চুরিও তুলে নিলেন তিনি।
ধৈর্য ধরার ইনিংসেও মাত্র ৯৫ বলে নিজের শতক তুলে নেন তিনি।
অপর প্রান্তে ৪১ রানে হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে লেবুশেন।
অষ্টম বিশ্বকাপ শিরোপা জিততে অস্ট্রেলিয়ার চাই আর ৫৬ রান, হাতে রয়েছে সাতটি উইকেট।
ব্রেকথ্রুর আশা জাগিয়েও ব্যর্থ বুমরাহ
শুরুর বিপদ ভালোভাবে সামাল দিয়ে যখনই সছন্দে খেলা শুরু করেছিলেন ট্র্যাভিস হেড ও মারনাস লেবুশেন, ঠিক সেই সময় অস্ট্রেলিয়া সমর্থকদের বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ।
২৭.৫তম ওভারে বুমরাহর দারুণ একটি ইয়র্কার ঠেকাতে ব্যর্থ হন লেবুশেন। বল সরাসরি প্যাডে নিচে আঘাত করলে আত্মবিশ্বাসী বুমরাহর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে তার অনুরোধে রিভিউ নেন রোহিত। রিভিউয়ে দেখা যায় বলটি লেগস্ট্যাম্পে আঘাত করত। ফলে আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান লেবুশেন।
৩০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৬৭। হেড ৮৫ ও লেবুশেন ৩৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বিপদ কাটিয়ে হেডের দারুণ ফিফটি
৪৭ রান করতে গিয়েই যেখানে তিন উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ওপেনার ট্র্যাভিস হেড।
মারনাস লেবুশেনকে নিয়ে ভালোভাবে বিপর্যয় সামাল দিয়ে এখন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন হেড।
২৫ ওভার শেষে তিন উইকেটে ১৩৫ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। বাকি ২৫ ওভারে জিততে তাদের চাই আর ১০৬ রান।
আর উইকেট না হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ১০০
পাওয়ার প্লেতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মাঠ বড় হওয়ার পর খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন ট্র্যাভিস হেড ও লেবুশেন। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ইতোমধ্যে দশ ওভার খেলে ফেলেছেন এই দুই ব্যাটার।
১৯.১ ওভারে দলীয় শতরানের মাইলফলক ছুঁয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
হেড ৫৪ বলে ৪৪ ও লেবুশেন ৩৮ বল মোকাবিলা করে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রানের অতি গুরুত্বপূর্ণ জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে ভারতের জন্য আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, ধীরে ধীরে উইকেটের আচরণ বদলাতে শুরু করেছে। পাওয়ার প্লের শেষদিকেই উইকেটে বলের টার্ন কমে গিয়েছে। পরে স্পিনাররাও এসে তেমন সুবিধা করতে পারছে না।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান অজিদের
তিন উইকেট হারালেও রানের গতি ঠিকঠাক রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। বুমরাহ-শামির অগ্নিঝরা বোলিং সামলাতে গিয়ে তিন তিনটি উইকেট হারালেও রান রেট ছয়ের উপরে অস্ট্রেলিয়ার।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে ওই তিনি উইকেটেই ৬০ রান সংগ্রহ করেছেন অজিরা।
ট্র্যাভিস হেড ২৬ বল মোকাবিলা করে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। অন্যপ্রান্তে লেবুশেন সাত বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
বাঁচার সম্ভাবনা থাকলেও রিভিউ নিলেন না স্মিথ, বুমরাহর দুই
হেড ও স্মিথ উইকেটে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে চাইলেও তা হতে দিলেন না বুমরাহ। নিজের পরের ওভারের ফের উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি।
এবার স্টিভেন স্মিথকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেছেন বুমরাহ। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিয়ে আউট হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা ছিল স্মিথের।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে অফ কাটার টাইপের ডেলিভারি দেন বুমরাহ। জোড়া পায়ে খেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্মিথ। ফলে বল প্যাডে আঘাত করতেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
অপর প্রান্তে থাকা হেডের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ায় উইকেট বিলিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন স্মিথ। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ওই বলের ইমপ্যাক্ট ছিল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন স্মিথ।
স্মিথ১ চারে ৯ বলে ৫ রান করে ফেরার পর পঞ্চারের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে এখন বিপদে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। হেডকে সঙ্গ দিতে এসেছেন মার্নাশ লেবুশেন।
৪৭ রান করতে গিয়ে তিন উইকেট হারানোর পর ৯ ওভার শেষে পঞ্চাশ পূর্ণ করেছে অজিরা।
পঞ্চাশের আগেই মার্শকে ফেরালেন বুমরাহ
ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর প্রতিটি বল দেখেশুনেই খেলছিলেন ট্র্যাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। বলের গুরুত্ব বুঝে ডট, এক ও চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন তারা দুজন।
তবে প্রথম ওভারের পর যেন অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছেন বুমরাহ। আগুনে বোলিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র এক রান দেয়ার পর তৃতীয় ওভারেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা।
ফলে দলীয় পঞ্চাশের আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া। আবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ আউটের ঘটনা ঘটেছে, আর এবার আউট হয়েছেন মার্শ। ১৫ বল খেলে ১৫ রান করে ফিরেছেন তিনি।
বুমরাহর মেডেইনে পঞ্চম ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দুই উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। ক্রিজে এসেছেন স্টিভিন স্মিথ।
দুর্দান্ত শামিতে শুরুতেই ফিরলেন ওয়ার্নার
ভারতের দুর্দান্ত বোলিং লাইন আপের জন্য ২৪০ রানের পুঁজিও যে অনেক, সেটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওভারটি অবশ্য অজি ব্যাটারদের দিকে থাকলেও পরের ওভারটি গেছে ভারতের পক্ষে।
প্রথম বলে চার মেরে ইনিংস শুরুর পর প্রথম ওভারে ১৫ রান নেয় অস্ট্রেলিয়া। এর পরের ওভারেই শামি চমক। আজও নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন তিনি।
আসলে প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড দিলেও শামির পরের প্রথম বৈধ ডেলিভারিতে দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। একটি অপ্রয়োজনী শট খেলে বিদায় নিতে হয়েছে এই অজি ওপেনারকে। অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরে দিয়েই যাচ্ছিল বলটি। কিন্তু তাকে খোঁচা দিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন ওয়ার্নার।
৩ বলে ১ চারে ৭ রান করে ওয়ার্না সাজঘরের পথ ধরলে ক্রিজে এসেছেন মিচেল মার্শ।
২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৮।